শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার নতুন প্রধান শনিবার ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের শাসনের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন।
দামেস্ক থেকে এএফপি জানায়, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নতুন প্রধান হিসেবে আনাস খাত্তাব তার পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার দুই দিন পর বলেন, ‘সকল পরিষেবা বিলুপ্ত করে সংস্কার করা হবে। নিরাপত্তা সংস্থা এমনভাবে পুনর্গঠন করা হবে, যা জনগণের মর্যাদা সমুন্নত রাখবে ।’
সরকারি বার্তা সংস্থা সানার এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি আসাদের শাসন আমলে সিরিয়ানদের দুর্ভোগের উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘পুরনো শাসক নিপীড়ন ও অত্যাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থায় দুর্নীতির বীজ বপন করে এবং জনগণের ওপর নির্যাতন চালায়।’
আসাদের পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কর্মকর্তা ও এজেন্টরা পালিয়ে গেলে কারাগারগুলো খালি করা হয়।
দামেস্কের ক্ষমতা দখলকারী সশস্ত্র জোটের নেতৃত্বদানকারী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) যোদ্ধারা এখন এই স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগ পাহারা দিচ্ছে।
৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে ১৩ বছরের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। এ সময় নিখোঁজ হওয়া আত্মীয় ও বন্ধুদের সন্ধানের আশা নিয়ে অসংখ্য সিরিয়ান কারাগার ও বন্দি কেন্দ্রে ছুটে যান। সাবেক বন্দিদের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
সাবেক শাসনামলে বিভিন্ন ধরনের বেশ কিছু সংখ্যক নিরাপত্তা পরিষেবা সংস্থা ছিল। বিভিন্ন নামের ওই পরিষেবাও তাদের সহযোগী অঙ্গ সংস্থাগুলো পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে জনগণের ওপর নিপীড়ন ও অত্যাচার চালিয়ে গেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, সংঘাতের সময় সিরিয়ার কারাগার ও আটক কেন্দ্রে এক লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
বৃহস্পতিবার, সাবেক শাসনামলে সামরিক বিচার পরিচালনায় থাকা এক জেনারেলকে দেশের পশ্চিমে গ্রেপ্তার করা হয়। কুখ্যাত সাইদনায়া কারাগারে বন্দী হাজার হাজার লোককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাকে দায়ী বলে অভিযুক্ত করা হয়।
ইউরোপে, ২০২২ সাল থেকে নির্যাতন ও ক্ষমতার অন্যান্য অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত করে সিরিয়ার বেশ ক’জন সাবেক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানো হয়েছে।