শিরোনাম
ঢাকা, ১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলি আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর গাজার জনসংখ্যা কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ। ফিলিস্তিনের কেন্দ্রিয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (পিসিবিএস)-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চলমান গণহত্যা ও বাস্তুচ্যুতিকে দায়ী করা হচ্ছে। কাতার-ভিত্তিক আল জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।
পিসিবিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা শুরু করার পর এই পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৫শ’ ৪১ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি।
জাতিসংঘের হিসেব অনুসারে গাজায় এই পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার শিশু মারা গেছে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন গতকাল ৩১ ডিসেম্বর বছরের শেষ দিন ৪শ’ ৫১তম দিনে গড়িয়েছে। বছরের শেষ দিনও গাজায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে আরো ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৫শ’ ৪১ জনে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ইসরাইলি সামরিক অব্যাহত আগ্রাসনে ২৭ জন নিহত এবং আরো ৯৯ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অব্যাহত এই হামলায় আরো অন্তত ১ লক্ষ ৮ হাজার ৩৩৮ ব্যক্তি আহত হয়েছে। এছাড়া গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনো ১৩ হাজারের ও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূ-খন্ডে তাদের নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে।