শিরোনাম
জেনেভা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শনিবার বলেছে, ইসরাইলি সামরিক অভিযানের পর কামাল আদওয়ান হাসপাতালটি ‘এখন ফাঁকা’ হয়ে গেছে। ইসরাইলি অভিযানের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শেষ প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সেবা দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না।
ডব্লিউএইচও বলেছে, শুক্রবার ইসরাইলের এই অভিযানে ‘হাসপাতালগুলো আবার আতঙ্কের যায়গায় পরিণত হয়েছে।’
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পদ্ধতিগতভাবে ভেঙে ফেলা ও উত্তর গাজায় ৮০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ, এ অঞ্চলে অবশিষ্ট ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনির জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী শনিবার জানিয়েছে, তারা হাসপাতালের ‘হামাস কমান্ড সেন্টারে’ তাদের অভিযান শেষ করেছে। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করে হাসপাতালের এক পরিচালককে আটক করে।
ডব্লিউএইচও জানায়, ‘কামাল আদওয়ান হাসপাতাল এখন ফাঁকা।’
ডব্লিউএইচও আরো জানায়, শুক্রবার হাসপাতালের অবশিষ্ট ১৫ জন গুরুতর রোগী, ৫০ জন পরিচর্যাকারী ও ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থাটি হাসপাতালটি এখন ‘ধ্বংস ও অকার্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ডব্লিউএইচও জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য এই গুরুতর রোগীদের হাসতাপালে অবস্থান করা, তাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি ডেকে আনবে। সংস্থাটি জানায়, ‘ডব্লিউএইচও তাদের সুস্থতা ও কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালকের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে অভিযানের সময় হাসপাতালের কিছু অংশ পুড়ে গেছে ও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাবরেটরি, সার্জিক্যাল ইউনিট, প্রকৌশল ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার ও মেডিকেল স্টোর।
শুক্রবারের শুরুতে ১২ জন রোগীকে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে সরাতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিছু লোককে জোর করে ধরে নিয়ে দক্ষিণ গাজার দিকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।