ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : পানামার সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নির্বাসিত অভিবাসীদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করার কথা মঙ্গলবার অস্বীকার করেছে। এই সব অভিবাসীদের হোটেলের জানালায় প্ল্যাকার্ড ধরে সাহায্যের জন্য আবেদন করতে দেখা যায়।
পানামা সিটি থেকে এএফপি জানায়, জননিরাপত্তা মন্ত্রী ফ্রাঙ্ক আব্রেগো বলেছেন, প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের ‘তাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত’ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘তারা তাদের সুরক্ষার জন্য আমাদের হেফাজতে রয়েছে।’
পানামা সিটির ডেকাপোলিস হোটেলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখা কিছু নারীকে পুলিশ পাহারায় থাকতে দেখা গেছে। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন’ এবং ‘আমরা আমাদের দেশে নিরাপদ নই।’ তাদেরকে এই দলের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। আব্রেগোর মতে, এই দলে চীন, ভারত, ইরান এবং ভিয়েতনামের অভিবাসীরা অন্তর্ভুক্ত।
আব্রেগো বলেন, যারা স্বেচ্ছায় বাড়ি ফিরবে না তাদের কলম্বিয়ার সীমান্তের কাছে দারিয়েন জঙ্গলে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হবে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা তাদের অন্য দেশে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা এবং আরামদায়ক ব্যবস্থা প্রদান করছি, এবং তাদের মধ্যে শেষজন আমাদের দেশ ত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা তা অব্যাহত রাখব। এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও একমত হয়েছে।’
আব্রেগো বলেন, পানামা‘সমস্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলছে।
তবে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অভিবাসীদের পাসপোর্ট এবং বেশিরভাগ মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, তাদের ‘একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে, আইনজীবীদের সাথে দেখা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং বলা হয়েছে, শিগগিরই তাদের পানামার জঙ্গলের কাছে একটি অস্থায়ী শিবিরে পাঠানো হবে।’
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, তারা ভেতরে থাকা বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেছে যারা নিজেদেরকে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে এবং অভিযোগ করেছে যে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করা হয়েছে।
গত মাসে তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আমেরিকা সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং লাখ লাখ অভিবাসী বহিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দেন।