ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মঙ্গলবার তার চূড়ান্ত অভিশংসন শুনানির মুখোমুখি হচ্ছেন। বিচারকরা তার বিপর্যয়কর সামরিক আইন ঘোষণার কারণে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে অপসারণ করবেন কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইউনের বেসামরিক শাসনের স্বল্পস্থায়ী স্থগিতাদেশ গণতান্ত্রিক দক্ষিণ কোরিয়াকে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দেয় এবং ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট তাকে পদ থেকে অপসারণ করে।
৬৪ বছর বয়সী ইউন বিদ্রোহের অভিযোগে গত মাসে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। সামরিক আইন ঘোষণার কারণে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। গত সপ্তাহে তার বিচার শুরু হয়েছে।
সিউলের সাংবিধানিক আদালতে কয়েক সপ্তাহ ধরে অভিশংসনের শুনানির পর, মঙ্গলবারের আদালতের অধিবেশন হবে ইউনের শেষ অধিবেশন। আটজন বিচারক রুদ্ধদ্বার কক্ষে তার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট তার আত্মপক্ষ সমর্থনে একটি সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং সংসদের প্রতিনিধিদের তার অপসারণের জন্য মামলা উপস্থাপনের জন্য সময় দেওয়া হবে।
আশা করা হচ্ছে, আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে রায় ঘোষণা করা হবে ।
পূর্বে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাই এবং রোহ মু-হিউনকে তাদের ভাগ্য জানতে যথাক্রমে ১১ এবং ১৪ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
যদি ইউনকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়, তাহলে দেশটিকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।
ইউনের অভিশংসন বিচারের বেশিরভাগই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে যে, তিনি সামরিক আইন জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন কিনা, যা জাতীয় জরুরি অবস্থা বা যুদ্ধের সময়কালের জন্য সংরক্ষিত।
ইউনের আইনজীবী কিম হং-ইল গত সপ্তাহে জোর দিয়ে বলেছেন, সামরিক আইন ঘোষণার উদ্দেশ্য দেশকে পঙ্গু করা নয়।
ইউনের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, গত বছরের সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের জন্য তার সামরিক আইন ঘোষণা জরুরি ছিল।