ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন শনিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় কীভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে তুরস্কে হামাস নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। গাজায় গত মাসে ইসরাইল তাদের সামরিক আক্রমণ পুনরায় শুরু করেছে।
ইস্তাম্বুল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, কালিন গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং তার প্রতিনিধি দলের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ এবং গাজার জনগণকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত করার ইসরাইলি পরিকল্পনা মোকাবেলার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
কালিন হামাসের প্রতি তুরস্কের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বস্ত করেছেন এবং বলেছেন আঙ্কারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল বা সংযুক্ত করার যে কোনও নতুন পরিকল্পনা শক্তভাবে বিরোধিতা করবে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তাদের নেতারা ‘যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে অবিলম্বে একটি বিস্তীর্ণ বন্দী বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছানোর" পাশাপাশি গাজা থেকে ইসরাইলি প্রত্যাহার, গাজা পুনর্নির্মাণ শুরু এবং ইসরাইলের অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে তাদের আগ্রহের ওপর জোর দিয়েছেন।
এটি ‘স্বাধীন এবং যোগ্য জাতীয় ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে গাজা উপত্যকা পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি প্রতিষ্ঠার মিশরীয় প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন’ দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনি যোদ্বা গোষ্ঠী বৃহস্পতিবার ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইলের সর্বশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দিয়েছে এবং ১৮ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি ‘ব্যাপক’ চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
গত ২রা মার্চ থেকে ইসরাইল গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের ওপর হামাসের আক্রমণের ফলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলটি সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সংকটের কবলে পড়েছে।
হামাস ইসরাইলকে ‘অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে’ ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। কিন্তু ইসরাইল তাদের অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ইসরাইল বলেছে, গাজায় এখনও বন্দী ৫৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হামাসকে বাধ্য করার এটাই একমাত্র উপায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইল গত ১৮ মার্চ গাজায় তাদের আক্রমণ আবার শুরু করে এবং তখন থেকে কমপক্ষে ১ হাজার ৬শ’ ৯১ জন নিহত হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।