চুয়াডাঙ্গা, ৩১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): গত বছরের ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালিত হয়। ৩০ জুলাই রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখলেও পুলিশের মারমুখী আচরণ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের হামলার ভয়ে তারা রাস্তায় নামতে পারেনি। তবে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী আন্দোলনের জন্য নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে।
ছাত্রদের কর্মসূচিতে বাধা দিলেও স্বাভাবিক দিনের মতই একটা দিন শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা শহরে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। অফিস আদালত স্বাভাবিক নিয়মেই খোলা থাকে। পুলিশের ভয়ে ছাত্ররা মিছিলে না গিয়ে অনলাইনে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। আন্দোলনকারীদের আহ্বানে সাধারণ মানুষও ফেসবুকের প্রোফাইল লাল করে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার কারণেও সেসময় অনেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতিত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাগর আহমেদ জুলাই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বাসসকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্কর সাথে যোগাযোগ করে চুয়াডাঙ্গার কর্মসূচি নির্ধারণ করা হতো। তবে ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচরণের কারণে আমরা ৩১ জুলাই রাস্তায় নামতে পারিনি। সে সময় ছাত্রলীগের রিগ্যান আন্দোলনকারীদের নানান ভাবে হুমকি দিতো।’
শিবির সভাপতি সাগর বলেন, ‘সরকার হটানোর জন্য আমরা ১৫ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ২৩ জুলাই চুয়াডাঙ্গা শহরে শিবিরের হোস্টেলে পুলিশ রেড দিয়ে আমাদের বই, খাতা, পোশাকসহ সব কিছু নিয়ে যায়। তবে ওই দিন আমরা হোস্টেলে ছিলাম না। আমাদের মোবাইলে আড়ি পাতার কারণে আমরা সিম বন্ধ করে রেখেছিলাম। অন্যের আইডি দিয়ে নতুন সিম তুলে আমরা সেই সিম ব্যবহার করতাম। জুলাইয়ের শেষেরদিকে আমরা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে প্রোগ্রাম শিডিউল ঠিক করতাম।’