বাসস
  ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:১০

জয়পুরহাটে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ছয় কৃষকের সাফল্য

॥ শাহাদুল ইসলাম সাজু ॥
জয়পুরহাট, ৭ আগস্ট , ২০২৩ (বাসস): পরীক্ষা মূলক ভাবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন জয়পুরহাটের  ক্ষেতলাল উপজেলার বরাইল ও বড়তারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ছয় কৃষক।
বরাইল ইউনিয়নের কুসুমশহর ও বড়তারা ইউনিয়নের কর্ণপাড়া এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে ছয় কৃষক মিলে প্রায় এক হেক্টর জমিতে এবার পরীক্ষা মূলক ভাবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেন। তরমুজ চাষে নেওয়া হয়েছে অর্গানিক ও মালচিং পদ্ধতি। পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ ও ইয়েলো কার্ড। বর্তমানে ইয়েলো কিং, অনুভব, ইয়েলোবার ও ব্লাকবেবি জাতের তরমুজ দোল খাচ্ছে মাচায় মাচায়। সেই সঙ্গে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। বড়তারা ইউনিয়নের কর্ণপাড়া এলাকার কৃষক কমল চন্দ্র বলেন, শখের বসে এবার পরীক্ষা মূলক ভাবে ৬৬ শতাংশ জমিতে ইয়েলোকিং, ব্লাকবেবি জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। এটি যেমনি রসালো তেমনি মিষ্টি হওয়ায় বাজারে চাহিদাও বেশি। জমি থেকেই পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা করে কেজি। পরিশ্রম এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় ভালো লাভ থাকছে বলেও জানান তিনি। কৃষক অনিল চন্দ্র বলেন, ৮০ শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এবার গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছি। এতে ৭০ হাজার টাকা খরচ হলেও ইতোমধ্যে এক লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন এবং আরও দুই লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ইয়েলো কিং, ব্লাকবেবি ও অনুভব জাতের তরমুজ চাষ করেছেন অনিল চন্দ্র। জমিতে মালচিং পেপার ব্যবহারের পাশাপাশি পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ ও ইয়েলো কার্ড। মাচায় তরমুজ গুলো ঝুলে রয়েছে এবং প্রতিটি তরমুজ নেটিং করা হয়েছে। তরমুজের ভেতরের অংশে লাল ও হলুদ। খেতে বেশ সুস্বাদু। ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ, মালচিং পোপার, ফেরোমনফাঁদ ও জৈব সার দিযেছে। ভালো ফলন হওয়া এবং মাচায় তরমুজ দোল খাচ্ছে দেখে    স্বপ্নও দোল খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কমল চন্দ্র, অনিল , কৃষ্ণসহ ওই এলাকার  ছয় কৃষক প্রথমবার পরীক্ষা মূলক ভাবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বলে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সে কারণে প্রথম বারের মতো পরীক্ষা মূলক ভাবে তরমুজ চাষে উøুদ্ধ করতে ছয় কৃষককে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। উচ্চ মূল্যেও ফসল হওয়ায় কৃষকদের মাঝে তরমুজ চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন, প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: এনামুল হক ও অতিরিক্ত উপপরিচালক ( উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম ক্ষেতলাল উপজেলায় চাষ হওয়া গ্রীষ্মকালীন তরমুজের জমি গুলো পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেন।