শিরোনাম
ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : ২০২২ সালে শ্রমবিধি সংশোধনীর মাধ্যমে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা কমিয়ে আনা সংক্রান্ত বিধি ৩৯(ক)-এর বৈধতা নিয়ে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আনা রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম বাসসকে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। তিনি জানান, সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাগুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অথচ ২০২২ সালে শ্রমবিধি ২০১৫ সংশোধনীর মাধ্যমে কর্মজীবী প্রসূতি নারীদের সেই অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। আইন বহির্ভূতভাবে মাতৃত্বকালীন সুবিধা সম্পর্কিত নারী কর্মীদের অধিকারকে নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। শ্রম বিধিমালা ২০১৫ সংশোধনের পরে মাতৃত্বকালীন ভাতা কমানো নারী শ্রমিকদের অধিকারের উপর একটি মারাত্মক আঘাতের শামিল। এমনকি বিষয়টি শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যার কারণে এই শ্রম বিধির সংশোধিত বিধি ৩৯(ক) শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ৪৮(২) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
গত ২৪ জুলাই ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষে সেক্রেটারি হাসিনা রশিদ, বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশনের (বিআইজিইউএফ) পক্ষে সেক্রেটারি মো. রাশেদুল আলম রাজু, আওয়াজ ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী ও সেক্রেটারি নাজমা আক্তার এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষে সেক্রেটারি খাদিজা আকতার এই রিট দায়ের করেন। রিটে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয় সচিবসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।