১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এস আলমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে নারী উদ্যোক্তার মামলা

বাসস
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৪

চট্টগ্রাম, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী উদ্যোক্তা। 

আদালত নাজমে নওরোজ নামে ওই নারীর মামলার আবেদন গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে ২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরো একটি মামলা করেছিলেন এই নারী উদ্যোক্তা। 

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভঙ্কর ঘোষ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সাইফুল আলম মাসুদসহ ৬ আসামি ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা ফেরত চাইলে তাকে অপহরণ করে খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় সাইফুল আলম মাসুদ ছাড়াও তার শ্বশুর আলী জহুর, শ্যালিকা জেসমিন আরশেদ, ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক প্রবর্তক মোড় শাখার সাবেক ভিপি মো. জাকারিয়াকে আসামি করা হয়েছে। 

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। ২০১৩ সাল থেকে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তিনি পরিচালনা করেন। সে সুবাদে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের শ্বশুর আলী জহুর ও তার মেয়ে জেসমিন আরশেদের সঙ্গে উনার পরিচয় হয় ও পারিবারিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের মাধ্যমে সাইফুল আলম মাসুদের সঙ্গে নওরোজের পরিচয় হয়। 

সাইফুল আলম মাসুদের নির্দেশে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৪৫ শতাংশ শেয়ার জেসমিন আরশেদকে ও ৪০ শতাংশ শেয়ার তার বাবা আলী জহুরকে দিয়ে নিজে ১৫ শতাংশ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। 

পরে সাইফুল আলম মাসুদের নির্দেশে নওরোজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধক রেখে আলী জহুর ও তার মেয়ে জেসমিন আরশেদ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, প্রবর্তক মোড় শাখা থেকে ৪৭ কোটি টাকা ঋণ নেন, যার মধ্যে মাত্র ১৫ কোটি টাকা নওরোজকে দেওয়া হয়। বাকি টাকা তারা আত্মসাৎ করেন। 

বিভিন্ন সময়ে ওই শাখা থেকে প্রতিষ্ঠানকে বন্ধক রেখে প্রায়ই ১০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে হাতিয়ে নেন তারা। নওরোজের চেকে স্বাক্ষর নকল করে ব্যাংক থেকে ওই টাকাগুলো নেওয়া হয়েছিল। 

২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব ঋণের টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ২০২৪ সালের ১৫ মে তিনি তার নামে ব্যাংক থেকে তোলা ১০০ কোটি টাকা চাইতে গেলে সাইফুল আলম মাসুদ গালাগালি করেন। ভবিষ্যতে টাকা চাইতে গেলে মামলার অন্য আসামিরা তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকিও দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ইবির ‘ল এন্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান বিলাসী সাহা
দুবাই পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ : গাজীপুরের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান গ্রেফতার
বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে বিভেদ কেন প্রশ্ন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় পতন, অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমেছে
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য এটুআই-এ আইসিটিসি সেল খোলা হবে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
টিকিট ছাড়া সিলেট টেস্ট দেখার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হলো ডিএনসিসি
১০