বাসস
  ২০ আগস্ট ২০২৩, ২২:৫৪

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অপটোমেট্রিস্ট নেই : চট্টগ্রামে আলোচনায় অভিমত

চট্টগ্রাম, ২০ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেছেন, বিশ্বে অপটোমেট্রি বহুল প্রচলিত নাম হলেও আমাদের দেশে এটি একেবারে নতুন। একজন চিকিৎসকের সাথে চারজন অপটোমেট্রিস্ট থাকার কথা থাকলেও  দেশে তার সংখ্যা একেবারে সীমিত। তাই বছরে ৫০০ অপটোমেট্রিস্ট তৈরি করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (চমেবি)’র অধীনে চক্ষু হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অব থালমোলোজি (আইসিও)’র উদ্যোগে আয়োজিত ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অপটোমেট্রি (বি.অপটম) কোর্সের ১৪ তম ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজ রোববার চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইমরান সেমিনার হলে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সমন্বয় থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, শিক্ষকের আন্তরিকতা ও অভিভাবকের তদারকিতে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবনের আলো জ্বালাতে পারে। মনোযোগ, মেধা শ্রম থাকলে সব কিছুতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। মাত্র ৩৬শ টাকা মূলধন নিয়ে হাসপাতালটির পথচলা শুরু হয়। আর এখন প্রতিনিয়ত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  শত শত চক্ষু রোগীর পদচারণায় এই হাসপাতাল মুখর উঠে। হাসপাতালটি আরো উন্নত প্রযুক্তি এবং এর কার্যক্রম আরো প্রসার করা হচ্ছে। মানসম্পন্ন চক্ষুসেবা প্রদান, চক্ষু চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ উন্নয়ন ও একটি উৎকৃষ্ট চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অন্যতম লক্ষ্য। আমরা  নগর জীবনের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসাসেবা ছড়িয়ে দিতে উপজেলাগুলোতে ভিশন সেন্টার করে জটিল ও কঠিন রোগীকে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছি।
আইসিও’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হোসেন, বিএসসি ইন অপটোমেট্রি’র কোর্স কো-অর্ডিনেটর জুয়েল দাশ গুপ্ত, অভিভাবক ছাবের আহাম্মদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে তথ্য উপস্থাপন করেন মোশারাফাতুল জান্নাত আঁখী। সমাপনী বক্তব্য রাখেন একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ও আইসিও’র অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ওসমানী।
আইসিও’র গবেষণা কর্মকর্তা তানজিলা মোহনার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অপটোমেট্রি  কোর্সের ২০২১-২০২২ নবীন ৩৫ শিক্ষার্থীকে বরণের পাশাপাশি ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখা ১০ শিক্ষার্থীকে নগদ টাকা বৃত্তি ও শিক্ষা সনদ প্রদান করা হয়।