শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ আগস্ট,২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকারের বিষয়ে কোন ছাড় দেননি। তিনি এ ক্ষেত্রে ছিলেন আপসহীন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ’৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৬’র ছয় দফা দাবি এবং ’৬৯’র গণঅভ্যূত্থান থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে অটল ও নির্ভীক ছিলেন। হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্রে তিনি (বঙ্গবন্ধু) এক সূত্রে গাঁথতে পেরেছিলেন।
তাজুল ইসলাম আজ বুধবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট (আইডিইবি) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ’র ঢাকাস্থ লাকসাম - মনোহরগঞ্জ শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজ জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলে ও নির্যাতনের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করেছিলেন উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, এত জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেও বাঙালির স্বাধিকার প্রশ্নে তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, যে মহান নেতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন আমরা তাঁকে রক্ষা করতে পারিনি। আমাদেরই কিছু কুলাঙ্গার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত করেছিল।’
তিনি এ সময় স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর হাতে দেশের উন্নয়নের চিত্র বিস্তরিতভাবে তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে পারত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় লাকসাম মনোহরগঞ্জসহ বৃহত্তর কুমিল্লার উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বর্ণনা করেন। কুমিল্লাকে আধুনিক একটি শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যে-যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার সবই করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সভাপতি মোঃ অহিদ উল্লাহ মজুমদার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওসমান গনি ভূঁইয়া, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুস ভূইঁয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।