শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি দেশ-বিরোধী সকল অশুভ শক্তিকে রাজপথে প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সব অপশক্তিকে পরাজিত করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। সকল অশুভ শক্তিকে রাজপথে প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো, আজকে এটাই হোক আমাদের শপথ, আমাদের অঙ্গীকার।’
মাহবুব উল আলম হানিফ আজ বুধবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিষদ হিসেবে পরিচিত ‘নীলদল’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতিটি কর্মকান্ড ছিল এই দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী। তিনি (জিয়া) ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশী পাকিস্তানের এজেন্ট। সেটা ইতিহাসে প্রমাণিত। আর এই কারণে, তার প্রতিটি কর্মকান্ড ছিলো রাজাকারদের পক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। কাজেই জিয়াকে খুনি বলতে কেন কুণ্ঠাবোধ হয়? আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যতদিন জিয়ার মতো খুনি কুশীলবের মুখোশ জাতির কাছে উন্মোচিত না হবে, ততদিন এই দেশের বিভাজন দূর হবে না। আর এক্ষেত্রে আমরা আগেও বলেছি, আর এখনও বলছি, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। তার মাধ্যমে জিয়ার মতো পেছনের কালপ্রিটদের জাতি চিনুক।’
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকে দেশে জঙ্গি ধরা পড়লে এই দলটি নানা কথা বলে। জঙ্গি ধরলে যেন বিএনপির গায়ে জ্বর আসে। এই জঙ্গি সৃষ্টিও করেছে তারা। এজন্য তাদের মায়া লাগে। তবে আমরাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর এই দেশে কোন জঙ্গিবাদের ঠাঁই নাই।’
‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক ছিল বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন’ তার কড়া সমালোচনা করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২১ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় দিবস। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশে ঘটেছিল পৃথিবীর ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা। সেদিন একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এতে, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেফ্তাহুল হাসান।