শিরোনাম
নীলফামারী, ২৫ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শুক্রবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল নয়টায় বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়। এরপর দুপুর ১২টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে তিন সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিকেল তিনটায় ১১ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। সেখানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়িসহ ইউনিয়নের ১৫টি চর গ্রামের প্রায় তিন সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন,‘ শুক্রবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিস্তাপাড়ের মানুষজন আবারো বন্যার শঙ্কায় আছেন। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেশ^র গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।’
একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের প্রায় সাত শতাধিক পরিবারের বাড়িতে পানি উঠেছে।’
চলতি বর্ষায় গত ১৯ জুন প্রথমবার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার উপরে ওঠে। পানি বাড়া-কমার মধ্যে থেকে গত ১৫ জুলাই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সেদিন তিস্তার পানি বিপৎসীমার তিন সেণ্টিমিটার নিচে নামার পর পর্যায়ক্রমে পানি কমে যায়। এরপর ১৪ আগস্ট সকালে আবারো পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে উঠে সেদিন সন্ধ্যায় বিপৎসীমার নিচে নামে। এসময়ে জেলার ডিমলা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১৫টি চর গ্রামের প্রায় তিন সহ¯্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার বিকেল তিনটায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’