শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : রাজধানীতে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৩ এবং র্যাব-৪ এর একটি যৌথ দল রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ ও অপহৃত ভিকটিম সৈয়দ আলী মন্ডলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেখান থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এ চক্রের মূলহোতা খোরশেদ আলম (৫২), তার সহযোগী জুয়েল রানা মজুমদার (৪০) ও মাসুম আহমেদ (৩৫)। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ জেলায়। আটকরা প্রবাসিদের আত্মীয়-স্বজনদের জিম্মি করে বিপুল পরিমান টাকা আদায় করতো বলে র্যাব সূত্রে জানা যায়। এছাড়া তারা অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মূল্যবান পণ্য দেশে নিয়ে আসতো।
তাদের কাছ থেকে অপহৃত ভিকটিম ছাড়াও স্বর্ণ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রসাধনী, অন্যান্য মূল্যবান পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় রাজধানী কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক (মূখপাত্র) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ৯ অক্টোবর রাতে যশোরের চৌগাছা থেকে সৈয়দ আলী মন্ডল (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে আসা তার ছেলেকে নেয়ার জন্য ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে নিখোঁজ হন। ভিকটিমের পরিবার না পেয়ে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এছাড়াও ভিকটিমের পরিবার র্যাব-৪ এর কাছে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম সৈয়দ আলীর ছেলে প্রবাসি নুরুন্নবীর সাথে প্রবাসে এ চক্রের মূলহোতা আবু ইউসুফের সাথে পরিচয় হয়। ইউসুফ ও তার সহযোগীরা নুরুন্নবীর আর্থিক দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাকে বাংলাদেশে আসার ফ্রি টিকেট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্বর্ণালংকার এবং একটি লাগেজে বেশকিছু দামী কসমেটিক্স পণ্য, ইলেকট্রনিকস আইটেম, চকলেট ইত্যাদি বাংলাদেশে নিয়ে এসে জনৈক খোরশেদের কাছে দেয়ার জন্য বলে দেন। প্রবাসি নুরুন্নবী ৯ অক্টোবর রাতে ঢাকায় আসবে বলে তার পরিবারকে জানায়। প্রবাসি নুরুন্নবীর পিতা ভিকটিম সৈয়দ আলী ৯ অক্টোবর রাতে প্রবাস ফেরত ছেলেকে নেয়ার জন্য ঢাকায় আসলে চক্রের সদস্যরা তাদের পাঠানো পণ্য নিরাপদে পাওয়ার জন্য ভিকটিম সৈয়দ আলীকে কৌশলে রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বাসায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।