বাসস
  ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ২২:১২

আমরা নিজ দেশকে অন্য দেশের ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্ট হতে দিতে পারি না : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৩(বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা নিজ দেশকে অন্য দেশের ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্ট হতে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, এগুলো নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কী করে দেশে ঢুকছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ও সেগুলোর বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস উপলক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
 ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। বিদেশ থেকে ব্যবহৃত পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল আমদানি জাতীয় জীবনে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ন্যায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ই-বর্জ্যের কাচামাল কাজে লাগানোর বিষয় সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনসমূহকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ই-বর্জ্য পুনরায় কী কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। ই-বর্জ্য নিয়ে সেই ভিত্তিতে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে।
এই জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকেও  এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডাম্পিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এটা সম্ভব হলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ই-বর্জ্য প্রয়োজনে  ডাকঘরের মাধ্যমে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে তিনি আরো বলেন,  মোবাইল কারখানা, মোবাইল অপারেটর  এবং আইএসপিসহ বিটিআরসির লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ বর্জ্য ফেরৎ নেওয়ার বিধিবিধান যাতে যথাযথভাবে পালন করে এ বিষয়েও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আন্ডারগ্রাউন্ডে ক্যাবল লাইন স্থাপনের পাশাপাশি  ভবন নির্মাণের সময় ভবনসমূহে ইন্টারনেটের ক্যাবল পরিকল্পিতভাবে যাতে সংযুক্ত করা যায় সে ব্যবস্থাও নিতে হবে। সফলভাবে  ই –বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য তা হবে অত্যন্ত কল্যাণকর।
পাশাপাশি জনসচেতনতায়, ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য সূচিতে ই-বর্জ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি দক্ষ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
 অপরিহার্য।
 ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং করে এটিকে সম্পদে পরিণত করতে সমন্বিত উদ্যোগে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, সার্ক সিএসআই এর সদস্য সাফকাত হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর এবিএম মইনুল হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাহফুজা, আইএসপিএবি সভাপতি  ইমদাদুল হক, বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এবং মুঠোফোন এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
 অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন।