শিরোনাম
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কলাম লেখক ডা. এস এ মালেকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল।
এ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাব ও মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ কলাবাগান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৃথক স্মরণ সভার আয়োজন করছে।
ডা. এস এ মালেক ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলায় ফকিরহাট থানার মূলঘর ইউনিয়নের সৈয়দ মহল্লা গ্রামে। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ডা. এস এ মালেকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে পরিচালিত ২৩ বছরের ধারবাহিক আন্দোলনে ছিল দৃপ্ত পদচারনা। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভূথ্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে প্রথমে তিনি দেশের অভ্যন্তরে রাজবাড়ি, গোয়ালন্দ এবং কুষ্টিয়ায় পাক সেনাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং পরে ভারতে চলে যান। কিছু দিন পরই বৃহত্তর ফরিদপুরের মুক্তাঞ্চলের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ওড়াকান্দিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৮ দিন পূর্বে গোপালগঞ্জকে পাক সেনা মুক্ত করেন এবং জেলা প্রশাসকের অফিসে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
ডা. এস এ মালেক ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হলে ডা. এস এ মালেক সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এ কারণে এক পর্যায়ে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান গ্রহণ করতে বাধ্য হন।
১৯৮০ সালে দেশে ফিরে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদকে সুসংগঠিত করার কাজে মনোযোগ দেন। তিনি দীর্ঘ দিন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডা. এস এ মালেক বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তিনি ষ্ট্রীম অব থটস, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের দু’দশকসহ একাধিক গ্রন্থের রচয়িতা।