শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস): প্রখ্যাত কবি ও শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক আর নেই।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনার বেসরকারি সিটি মেডিকেল হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এর আগে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবু বকর সিদ্দিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর। তিনি পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার বাদ যোহর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে খুলনা শহরের তুঁতপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
কবি আবু বকর সিদ্দিক বাগেরহাট মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অত:পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আবু বকর সিদ্দিক শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি পরবর্তীতে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি ১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন ১৯৪৬ সালে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ধবল দুধের স্বরগ্রাম, বিনিদ্র কালের ভেলা, হে লোকসভ্যতা, মানুষ তোমার বিক্ষত দিনসহ আঠারোটি কাব্যগ্রন্থ ও একটি ছড়াগ্রন্থ হট্টমালা রয়েছে। তাঁর লেখা গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তিনি জলরাক্ষস, খরাদাহ, একাত্তরের হৃদয়ভস্ম, বারুদপোড়া প্রহর নামে তিনটি উপন্যাসও রচনা করেন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।