শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : কাপাসিয়ায় কৃষি ভিত্তিক সবুজ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি এই উপজেলার ২৩১ টি গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে চান গাজীপুর- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী এবং দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি বলেন, ‘কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং শিক্ষিত ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিই থাকবে প্রধান লক্ষ্য। এছাড়াও কাপাসিয়ার যুব সমাজকে জ্ঞান অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। যারা উন্নত রাষ্ট্র গঠনের কাজে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এইসব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
ছোট ভাই সোহেল তাজ পদত্যাগ করলে ২০১৩ সালে উপনির্বাচনে সিমিন হোসেন এ আসনে বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন। চুতুর্থবারের মতো এ আসনে লড়ছেন সিমিন হোসেন।
তিনি বলেন, ‘উদ্ভিজ্জ অর্থনীতির এক ভান্ডার কাপাসিয়া। এর আনাচ কানাচে ছড়িয়ে আছে ফল-ফসলের এক প্রাকৃতিক আধার। এই এলাকায় কেবল ফল চাষে নির্ভর করেই জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক পরিবার। একে কাজে লাগিয়ে আমরা কাপাসিয়ায় একটি ‘সবুজ অর্থনীতি’ তৈরি করে মডেল উপজেলা হিসেবে একে গড়তে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেককে খুশি দেখতে চাই। এখানে উন্নয়ন হলে কেবল আওয়ামী লীগের লোকজন সুবিধা ভোগ করবে, তা নয়, সবাই উপকৃত হবে। দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা বলেন, নির্বাচিত হলে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত নিরাপদ কাপাসিয়া গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই লক্ষ্যে শিক্ষার্থী তরুণদের বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলায় সক্রিয় করা এবং বইপড়ায় আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বিজয়ী হলে কাপাসিয়াকে সারাদেশের মধ্যে মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে সিমিন হোসেন বলেন, ‘কাপাসিয়াকে মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে সকল মানুষের তথ্যের জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। যে যে ধরনের কাজে যোগ্য হবে, তাকে সেই ধরনের কাজে যুক্ত করা হবে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে জীবন জীবিকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।’
অনেক চেষ্টা শেষে কাপাসিয়া উপজেলাকে মাতৃমৃত্যু শূন্য কোটায় আনতে পেরেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা। মাতৃমৃত্যু কমাতে কাপাসিয়া মডেল বাস্তবায়নে গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকি, বয়সসহ ২৭ ধরনের তথ্য নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে তথ্যভান্ডার (ডেটাবেইস সফটওয়্যার), যা গর্ভবতীর আয়না নামে পরিচিত। এর পাশাপাশি আছে গর্ভবতীর গয়না নামের একটি স্বাস্থ্য নির্দেশিকা।
তিনি বলেন, গর্ভবতীর আয়না ও গর্ভবতীর গয়নার সমন্বয়ে চলছে মাতৃমৃত্যুমুক্ত এই কার্যক্রম। দরিদ্র গর্ভবতীর চিকিৎসা সহায়তার জন্য ‘মানবিক সহায়তা তহবিল’ নামে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। বিনা মূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় মাস অন্তর ইউনিয়ন ভিত্তিক ‘গর্ভবতী মা সমাবেশ’ আয়োজন করা হয়।