বাসস
  ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫১

গোপালগঞ্জে ৯ হাজার ৩৫ টন তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : ভোজ্য তেলের আমতদানী নির্ভরতা কমাতে  গোপালগঞ্জে ৯ হাজার ৩৫ টন তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরমধ্যে ৬ হাজার ২ শ’ ২৩ টন সরিষা, ৪৮০ টন তিল, ৮২ টন সূর্যমুখী ও ২ হাজার ২শ’ ৫০ টন চিনা বাদাম উদপাদিত  হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বাসসকে বলেন,  ৯ হাজার ৩৫ টন তেল ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৯শ’ ৮১ হেক্টর জমিতে তেল জাতীয় ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে  ৪ হাজার ৯শ’ ৩৬ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৪০৬ হেক্টর জমিতে তিল, ৫১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী , ৫শ’৮৮ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম আবাদ করা হয়েছে। 
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গোপালগঞ্জ জেলায় ৫ হাজার ৭শ’৪৩ হেক্টরে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ করেন কৃষক। সেখান থেকে ৭ হাজার ৮শ’ ৩৫ টন তেল জাতীয় ফসল উৎপাদিত হয়। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, ভোজ্য তেলের আমতদানী নির্ভরতা কমাতে  ও তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছর  গোপালগঞ্জে ২৩৮ হেক্টের জমিতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এতে জেলায় ১ হাজার ২শ’ টন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সরিষা আবাদে  ৬ হাজার ২শ’ জন কৃষক, সূর্যমুখীতে ৫শ’ ৬০ জন কৃষক ও চিনা বাদাম আবাদে ৬শ’ ৮০ জন  কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার বীজ সার প্রদান করা হয়েছে। এসব বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৭ হাজার ৪শ’৪০ বিঘা জমিতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ করেছেন। এ কারণে জেলায় তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় তেল ফসলের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। 
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষক রহমত শরীফ বলেন, বাজারে ভোজ্য তেলের দাম চড়া। গত বছর ১ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলাম । তাতে ১.৮ টন ফলন পেয়েছিলাম। এতে আমার ব্যাপক লাভ হয়েছির। এবছর  আমি সরকারি প্রণোদনার বীজ-সার পেয়ে ১ হেক্টরে আগাম জাতের সরিষা করেছি। এখান থেকে এ বছর বাম্পার ফলন পাব। সরিষা আবাদ করে কলাই ফসলের তুলনায় আমার প্রায় দ্বিগুন টাকা লাভ হবে।