শিরোনাম
ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন মহাসড়ক ও এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সর্দারসহ ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
র্যাব জানিয়েছে, রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র এবং ডাকাতির সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- আবুল হোসেন (৩৫), মো. মাসুদ রানা (২৬), জসিম মিয়া (৩৩), রহমত আলী (২৮), নয়ন মিয়া (২৪), মো. ইব্রাহীম (২৬), মো. ইদ্রিস (২৩), মো. কফিল উদ্দিন (৩২), হাসান আলী (২৩), জুয়েল (৩৫) ও মো. আলমাস (২৭)।
এ সময় ডাকাত সদস্যদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেওয়া একটি পিকআপসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দু’টি চাপাতি, ছুরি, চারটি গামছা, তিনটি রশি, ১১টি মোবাইল ফোন, একটি হাতঘড়ি ও সাত হাজার টাকাসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়।
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার লালমাই থানাধীন কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে গতিরোধ করে মালামালসহ পন্যবাহী পিকআপ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লা জেলার লালমাই থানায় ৩১ ডিসেম্বর অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা করা হয়। এতে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। র্যাব-৩ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সাকিব টি-স্টলের সামনে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, এই ডাকাত দলটির সদস্যরা বর্তমানে রাজধানী ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। তারা দৃশ্যমান পেশা হিসেবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করলেও ডাকাতিই তাদের মূল পেশা। গ্রেফতারকৃত আবুলের নেতৃত্বে সংগঠিত হওয়ার পর হতে অদ্যাবধি তারা বেশকয়েকটি মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন, বাস, ঘরবাড়ি ও দোকানে ডাকাতি এবং প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন পেশায় একজন ট্রাকচালক। তার এই পেশার আড়ালে সে সরাসরি ডাকাত দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তার সাথে অন্যতম সহযোগী হিসেবে মাসুদ রানা ডাকাতির কার্যক্রম পরিচালনা করতো। মাসুদ মূলত একজন মাছ ব্যবসায়ী এবং সে তার ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি করতো।