বাসস
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০০

গোপালগঞ্জে ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গ্পোালগঞ্জ), ৩ জানুয়ারি,২০২৩ (বাসস): গোপালগঞ্জে ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৬ হাজার ৪৯৯ হেক্টরে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৩৮ হেক্টরে, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৩০৬ হেক্টরে, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৩৬ হেক্টরে ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯০১ হেক্টরে বোরো ধান আবাদ হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন,  গোপালগঞ্জ জেলা নি¤œজলাভ’মি তথা বিল বেষ্টিত একটি জেলা। এ জেলার প্রধান ফসল বোরো ধান। উৎপাদিত বোর ধান দিয়েই অধিকাংশ কৃষকের সার বছরের খাবারের জোগার হয়। তাই কৃষক সর্বোাচ্চ চেষ্টা করে বোরো ধানের  বাম্পার ফলন ফলিয়ে আসছেন। আর এ কারণেই গোপালগঞ্জ জেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, গোপালগঞ্জে ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬০ হাজার ৩০৮ হেক্টর জমিতে বোরো হাইবীড জাতের  বোরো ধানের আবাদ হবে। ২১ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। আর ৫ হাজার  হেক্টরে হবে স্থানীয় বোরা ধানের আবাদ। বাংলাদেশের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি হাইব্রিড বোরো ধানের আবাদ হয়। এখানে প্রতি হেক্টরে হাইব্রিড বোরা  ধান সাড়ে ৮ টন থেকে সাড়ে ১০ টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে।  এ কারণে  গোপালগঞ্জ জেলায়ং ধানের ফলন জেলার তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ধানের উৎপাদন ও আবাদ বৃদ্ধি জন্য সরকার ৭০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ সার দিয়েছে। এরমধ্যে ৪০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে ২ কেজি করে ৮০ হাজার কেজি হাইব্রিড বোরো ধানের বীজ দিয়েছে। আর ৩০ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) বোরো ধানের বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি এবং ডিএপি সার দিয়েছে। এসব বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৭০ হাজার বিঘা জমি আবাদ করছেন।  গোপালগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে  কৃষক উৎসবের আমেজ ক্ষেতে বোরো ধান আবাদ শুরু করেছেন। এ বছর বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই কর্মকর্তা ।