শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) এর আর্থিক সহযোগিতায় আজ মঙ্গলবার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এবং দ্যা কার্টার সেন্টারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি” শীর্ষক প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ও অবহিতকরণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ ব্যবহার করে প্রান্তিক নারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে ১০টি জেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় প্রধান অতিথি প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক বলেন, আমাদের অনেক অগ্রগতি হলেও এখনও বাংলাদেশের অনেক নারী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি বলেন, তথ্য প্রাপ্তি কেবল সুবিধার বিষয় নয়, এটি অর্থনৈতিক সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায়ন সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে। তথ্য আমাদের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনটি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আইনটি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনটির সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি বলেন, প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারে এখন পর্যন্ত নারীদের অংশগ্রহণ অনেক কম। সরকারি সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইনকে কাজে লাগাতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইউএসএআইডি-এর মিশন ডিরেক্টর রিড জে অ্যাশলেম্যান তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে মানুষের জীবন মানের অগ্রগতিতে সকলের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দ্যা কার্টার সেন্টারের রুল অব ল প্রোগ্রামের অন্তবর্তীকালীন পরিচালক হিলারি ফোর্ডেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। সভায় তথ্য কমিশন এর সচিব জুবাইদা নাসরীন, কার্টার সেন্টারের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬৪ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।