শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
তিনি আজ শনিবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে যমুনা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে নদীর বাঁ পাশের তীর বরাবর ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ‘জিও ব্যাগ ফেলা’ কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
করোনা (কভিড-১৯) মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ইজরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে পণ্য পরিবহনে জাহাজ চলাচল বিঘিœত হওয়ায় সারবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালে রাখার চেষ্টা করছে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু এ সময় জানান, সরকার ব্যবসায়ীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে, কিন্তু কেউ অন্যায়ভাবে অতি মুনাফার লোভে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে, তাদের বিরুদ্ধেও সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আসন্ন রমজান চিনি-তেল এবং খেজুরসহ অন্যান্য নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র এই মাসে বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ পণ্যের দাম কমিয়ে দেয় আর আমরা বাড়িয়ে দেই’।
এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
পরে প্রতিমন্ত্রী টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলাধীন সলিমাবাদ, বলরামপুর ও নিশ্চিন্তপুর এবং মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলাধীন চরকাটারি এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে যমুনা নদীর বাঁ পাশের তীর বরাবর ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক জিও ব্যাগ ফেলা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
জিও ব্যাগ ফেলার মাধ্যমে যমুনা নদীর বামতীরে স্থায়ী বাঁধের কার্যক্রম শুরু হলো উল্লেখ করে- তিনি বলেন, এরপর সিসি ব্লক দেয়া হবে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই প্রকল্প’র বাস্তবায়ন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহবান জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই কাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কেউ অনিয়মে জড়িত থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু করে আরিচা ঘাট পর্যন্ত একটি রিংরোড করার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
উল্লেখ্য, যমুনা নদী ভাঙনের করাল গ্রাস থেকে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো রক্ষাকল্পে ‘ফ্লাড এন্ড রিভারব্যাংক ইরোসন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (প্রজেক্ট-২)’- শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।