শিরোনাম
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পর্যায়ক্রমে ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে।
আজ সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার যানজট : মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেস ওয়ের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ঢাকা পৃথিবীর জনবহুল শহরগুলোর অন্যতম এবং প্রতি বর্গ কিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে এই শহরে। তাছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এই শহরে নাগরিক সুযোগ সুবিধা দিন দিন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকাকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা ঢাকায় মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস ওয়ের মত দ্রুতগতি সম্পন্ন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
এতে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ডুরার সভাপতি ওবায়দুর মাসুম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডুরার সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা।
মন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানুষের সামর্থ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি দখলমুক্ত ফুটপাতের উপর জোর দিয়ে বলেন, হাটার পরিবেশ পেলে নাগরিকরা স্বল্প দূরে হেঁটে গেলে তা পরিবেশের জন্য এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে সেক্ষেত্রে হকারদের পুনর্বাসন অথবা তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দেয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বলেও জানান তিনি।
যানজটের সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একই পরিবারের একাধিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জবাবদিহিতার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পার্কিং ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনা জরুরি পড়েছে।
এদিকে, বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ‘ঢাকা মেয়র কাপ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মাদকমুক্ত ও মানবিক সমাজ গড়তে খেলাধুলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
খেলাধূলার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, খেলাধূলা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ কারণে উন্নত বিশ্বে খেলাধূলার উপর অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়। খেলাধুলা মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক চেতনা তৈরি করে উল্লেখ করে বলেন, এ বোধ যে মানুষের মধ্যে কাজ করে তারা দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই খেলাধুলার গুরুত্ব আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং জাতীয় জীবনে অপরিহার্য।