বাসস
  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৬
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৪

কুমিল্লায় সাবেক এমপি বাহারসহ ২৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ২৬১ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লা সদরের ডুমুরিয়া চান্দপুর গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. ইনজামুল হক রানা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, সদর দক্ষিণের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ পাভেল, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম বকুল, সাবেক পিপি এডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভূইয়া, মহানগর কৃষকলীগের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদি, সাবেক সংসদ সদস্য বাহারের জামাতা সাইফুল আলম রনি, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কাউন্সিলর আজাদ হোসেন, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর শিপন, এডভোকেট আনিছুর রহমান মিঠু, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম, সাবেক কাউন্সিলর শাহলম খান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আজিজ সিহানুক, যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম শাওন, পাচথুবী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান রাফি রাজু, ইকবাল হোসেন বাহালুল, কালিরবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী, শ্রমিক লীগ নেতা হাসান খসরু, জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট ফাহমিদা জেবিন, বুড়িচংয়ের আদনান হায়দার, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার প্রমুখ।

উল্লেখ্য গত ৩ আগস্ট পুলিশ লাইন্সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালায়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়।