বাসস
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

সঠিক সময়ে শনাক্ত ও চিকিৎসা করা হলে শিশু ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সঠিক সময়ে শনাক্ত ও চিকিৎসা করা হলে শিশুদের ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব।
তিনি বলেন, শিশুদের ক্যান্সার হয় সেটি অনেকে জানে না। শিশুরা অসুস্থ হলে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় শিশু কোন রোগে আক্রান্ত হয়। শিশু ক্যান্সার আক্রান্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসা করলে তা নিরাময় করা সম্ভব হয়। 
আজ ‘যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসায় শিশু ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন উপাচার্য। 
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শিশু ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। শিশুদের ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। ইতিমধ্যে বিএসএমএমইউতে স্বল্প খরচে সফলভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। 
বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে স্মার্ট দেশে রূপান্তরের অংশ হিসেবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাস্থ্য খাতকেও স্মার্ট করে গড়ে তুলব যাতে দেশের কোন রোগীর বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে না হয়। দেশের রোগীরা দেশেই চিকিৎসা পাবে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করে দিয়েছেন। এখানেই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, প্রতিবছর বিশ্বে অন্তত চার লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। উন্নত দেশগুলোতে ক্যান্সার থেকে রোগীর সুস্থ হওয়ার হার  ৮০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে এ হার প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে যথাসময়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে এবং উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী ভালো হয়। সচেতনতার অভাব, মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসার ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের অভাবসহ নানা কারণে বেশির ভাগ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মারা যায়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলোজি ও অনকোলোজি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক শোভাযাত্রায় শিশু হেমাটোলোজি অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. ইয়াকুব জামাল, অধ্যাপক ডা. মো: আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ডা. মো: গোলাম হাফিজ,  ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো: আসাদুল ইসলাম, শিশু নেফ্রোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফোরোজা বেগম, শিশু নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।