শিরোনাম
॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৪ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ।এটি কলেজ গোপালগঞ্জসহ আশপাশের ৪টি জেলার শিক্ষা বিস্তার বরাবরই বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে। গোপালগঞ্জ জেলা শহরের এ বিদ্যাআয়তনে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী বিদ্যা অর্জন করছে । শুধু শিক্ষা বিস্তারই নয়, তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্চে। সে জন্য বিতর্ক, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নাট্যকলার চর্চা চলছে। সেই সাথে নেওয়া হচ্ছে মোটিভেশণাল ক্লাস।সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওহিদ আলম লস্কার নিয়মিত এসব মোটিভেশনাল ক্লাস নিচ্ছেন।
কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ২০১০ সালে প্রণিত শিক্ষানীতিতে কলেজের প্রতিটি ক্লাস শুরুর প্রথম ৫ মিনিট দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে শিক্ষকদের কথা বলতে বলা হয়েছে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ২০২১ সালের ২ আক্টোবর মোঃ ওহিদ আলম লস্কার সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের যোগদ্না করেন। এরপর তিনি কলেজের ২০ হাজার শিক্ষক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এগুলো বাস্তবায়িত হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পজেটিভ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।এটি শিক্ষোর্থীদের সুনাগরিক হতে সহায়তা করছে।
সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সিনিয়র শিক্ষাক অধ্যাপক পার্থ রঞ্জন শিকদার বলেন, এ কলেজে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, বাগেরহাট, পিরোজপুর সহ আশপাশের জেলাগুলোর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনো করে। অধ্যক্ষ এ কলেজে বিতর্ক, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নাট্যকলার চর্চার ব্যবস্থা করেছেন । সেই সাথে তিনি নিজে মোটভেশণাল ক্লাস নিচ্ছেন। জাতীয় সংগীত শুরু হলেই ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কলেজের যে যেখানে থাকেন দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শণ করেন। এখানে বিতর্ক , সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ খেলাধূলার আয়োজন করা হচ্ছে । বুধবার (২০ মার্চ) দিনব্যাপী আমাদের ইংরেজি বিভাগে বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়েছে।পড়াশোণার পাশাপাশি ক্লাসে ৫ মিনিট শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওহিদ আলম লস্কার বলেন, গোপালগঞ্জে ১৯৫০ সালে এই কলেজ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আগ্রণী ভূমিকা রাখেন।তাঁর নামাঙ্কিত কলেজের শিক্ষার্থীদের আমি সঠিক শিক্ষা দিচ্ছি। সেই সাথে তাদের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে তুলছি। এখানে নিয়মিত বিতর্ক, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নাট্যকলার চর্চা চলছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে ক্লসে ক্লাসে গিয়ে মেটিভেশনাল ক্লাস নিচ্ছি। এ কলেজটিকে আমি সবদিক থেকে দেশের অনন্য কলেজে পরিনত করতে চাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মারিযা মিমি, তাসলিমা খানম,তায়েবা ইসলাম, সংগীতা মন্ডল,সাগর রায়, সৌরভ মন্ডল বলে, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত কলেজে পড়াশোনা করি। এটি আমাদের কাছে গর্বের। আমাদের অধ্যক্ষ শুধু শিক্ষা বিস্তারই নয় তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জণ , বিতর্ক,সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ সব ধরণের ব্যবস্থা করেছেন। এখান থেকেই আমরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করছি।তাই এখানে শিক্ষা সমাপ্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিানার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সারথি হব।