বাসস
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২২
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৩

মাদক ব্যবসায় অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ, গ্রেফতার ১২২  

ঢাকা, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : মাদক ব্যবসায় গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
তিনি বলেন, সিআইডি এখন পর্যন্ত ৩৫টি মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে। এরমধ্যে ১০টি মামলার তদন্তে প্রকৃত গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এমনকি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মাদকের অর্থে বাড়ি-গাড়ি ও জমি ক্রোক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাদক মামলায় ১২২ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এরমধ্যে এজাহারনামীয় ৬৭ জন রয়েছে। এসব মামলার গডফাদারদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১০টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গডফাদারদের ৯ দশমিক ১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮কোটি ১১ লাখ টাকা। মাদক ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত ১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও একটি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার তদন্তে সাধারণত সেবনকারী বা বাহক পর্যন্ত তদন্ত করেই চার্জশিট দেওয়া হয়। এর পেছনে গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। সিআইডি প্রথম গডফাদারদের গ্রেফতার ও তাদের সম্পদ ক্রোকের কাজে হাত দিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্পদ ক্রোকের বিষয়ে আমরা আদালতে উপস্থাপন করি, আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ক্রোকের নির্দেশ দেন। পরে ক্রোক করে আদালতেই জমা দেওয়া হয়।’
গডফাদারদের পরিচয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা এতোদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তারা প্রকৃতপক্ষে পেশাগতভাবে মাদক ব্যবসায়ী। তাদের আর কোন পরিচয় নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক সংশ্লিষ্টতায় সাধারণত প্রথমে বাহক বা সেবনকারীকে ধরা হয়। তারপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এর পেছনে কারা আছেন সে পর্যন্ত যেতেন না। সিআইডি ভিন্ন আঙ্গিকে পেছনের ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়া শুরু করে। তারা কোথায় যোগাযোগ করছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহজনক লেনদেন পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করছেন।