বাসস
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

যারা মুক্তিযুদ্ধ মানেনা তারা স্বাধীন দেশকেও মানে না : কাজী জাফরুল্লাহ

মেহেরপুর, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে মানেন না, তারা দেশকেও মানে না। মুজিবনগর দিবসকেও মানেন না। ওরা পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে। 
মেহেরপুরে মুজিবনগরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে অয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানান আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুজিবনগর আ¤্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।  ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আগে অতিথিদের গার্ড অব অনার প্রদান ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। 
এতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি সভাপতিত্ব করেন। খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এমপি, অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এমপি। বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট আফজাল হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, এডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ অনুষ্ঠানের পর থেকেই বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি রূপলাভ করে। 
সভাপতির বক্তব্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রশ্নে যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে। এই হোক মুজিবনগর দিবসের শপথ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে মানুষ মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভপপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এই মুজিবনগরে সিমিম হোসেন রিমি ও আমার অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। কারণ আমাদের বাবা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন ও পরিচালনা করেছিলেন। 
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ শুরু হয় ৭১ এর ১৭ এপ্রিলে। ওইদিন পাশের ভবেরপাড়া খ্রিস্টান মিশনের সিস্টাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাদের দু’একজন আজও বেঁচে আছেন। আগামীতে কোন ১৭ এপ্রিলে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।   
যুগ্ম সাধারণ সম্পদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কোন মেজরের হুইসেলে আমাদের স্বাধীনতা আসেনি। জিয়া ক্ষমতায় আসার পর কুখ্যাত রাজাকারদের রাজনীতি করার অধিকার নিশ্চিত করে। দালালি আইন বাতিল করে। তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানি এজেন্টদের বিতাড়িত করে এদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।’
সভা শেষে গীতিনাট্য ‘সোনালী স্বপ্নের দেশ’ উপস্থাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কুতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।