বাসস
  ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭

গোপালগঞ্জে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস): গোপালগঞ্জে খরিপ-১ মৌসুমে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৩৬ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২২১ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১৮ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের   গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার । বোনা আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে (চাউলে) ৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন।
সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের শরীফপাড়া গ্রামের কৃষক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের এলাকায় বোরোধান মূল ফসল। বোরো ধান কাটার পর ক্ষেতে পানি চলে আসে। তাই ওই জমিতে কোন ফসল উৎপাদন করতে পারতাম না। এখন আমরা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উৎসাহে বোনা আমন ধানের চাষ করি। এ জাতের ধান চাষাবাদে তেমন কোন খরচ নেই। হেক্টরে বোরা আমন (চাউলে) ১.২ টন ফলন দেয়। এটি আমাদের বাড়তি উৎপাদন। এতে আয় বাড়ছে। পাশাপাশি দেশের খাদ্য উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। সেই সাথে আমরা কৃষকের আয় দ্বিগুন করে দিতে চাই। খোরপোষের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে কাজ করছি। এসব কারণে আমরা কৃষককে অধিক ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করছি। যেখানে যে ফসল উপযোগি আমরা কৃষককে দিয়ে সেখানে সে ফসল উৎপাদন করাচ্ছি। এতে করে এ জেলায় প্রতি বছর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিক ফসল উৎপাদন করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, বোনা আমন  গোপালগঞ্জ জেলায় প্রাচীনকাল থেকে আবাদ হয়ে আসছে। কিন্তু বোরোধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝে কৃষক বোনা আমানের চাষাবাদ কমিয়ে দেয়। আমরা কৃষককে ফের বোনা আমন চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করছি। তারা আমাদের পরামর্শে বোনা আমন চাষাবাদ বাড়িয়েছে। এ কারণে গোপালগঞ্জে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষক ভাল দামে বোনা আমন বিক্রি করে কাচা টাকা ঘরে তুলতে পারছেন।