শিরোনাম
ঢাকা, ৪ মে, ২০২৪ (বাসস) : সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকগণ, সিনিয়র এডভোকেটগন, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার পূর্বে বিশিষ্ট আইনজীবী মরহুম এ জে মোহাম্মদ আলীর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক। এ জে মোহাম্মদ আলীর কর্মজীবনের উপর স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম এইচ খন্দকার বাংলাদেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। এ জে মোহাম্মদ আলীও এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। এরকম আর কখনও আসবে কি-না সন্দেহ আছে। এ জে মোহাম্মদ আলী নিতান্তই ভদ্রলোক ছিলেন। বড় মাপের মানুষ ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ পৌঁছে। আজ দুই দফা জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন করা হয়। আজ বাদ জোহর রাজধানীর ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ২ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন তিনি।
সাবেক এটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বার-এর সাবেক সভাপতি দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শোক প্রকাশ করেছেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার এর সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম এইচ খন্দকার। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল। এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৭৮ সালে আইনজীবী হিসেবে সনদ পান। ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তিনি দেশের দ্বাদশ এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ৩০ শে এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ শে জানুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ জে মোহাম্মদ আলী।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী।