শিরোনাম
পটুয়াখালী, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মাঠের পর মাঠ বিস্তৃত তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছোট বড় আগাম জাতের তরমুজ। ফলে তরমুজ চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন দশমিনার চাষীরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, এবার সাত থেকে আট কোটি টাকার আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করবেন দশমিনা উপজেলার তরমুজ চাষীরা। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে বলেও আশা তাদের।
জানা যায়, চলতি বছর দশমিনা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে আগাম জাতের তরমুজসহ বিভিন্ন জাতের ২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হেক্টর বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার আসতে শুরু করেছেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সাত থেকে আট কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। বর্তমানে প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে প্রায় ৫ কেজি।
উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিসা খালী গ্রামের তরমুজ চাষী মো. তৈয়বুর রহমান জানান, আমি এবছর চার একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছি। ফল আসা পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা বিক্রি হবে। আমি তরমুজ চাষে লাভবান হবো। ।
একই গ্রামের চাষী মো. জালাল মৃধা জানান, তিন একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছি ফলন এসেছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে প্রায় ৫কেজি।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, উপযুক্ত মাটি, উপযোগী আবহাওয়া ও লাভজনক হওয়ায় এ বছর বেশি তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। আগাম জাতের তরমুজ বেশি চাষ হওয়ায় মানুষের কর্মস্থল হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নিয়মিত তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শনসহ তদারকি এবং কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে।