শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৫ মে, ২০২৪ (বাসস): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, কোনক্রমেই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, এসব জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে এবং দেশের স্বার্থে; দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে; সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে; অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে।
আজ রোববার চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ অডিটোরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান বলেন, অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে। সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। কারেন্ট জালে মাছ ধরে ফেললে কোনো প্রযুক্তিই কাজে আসবে না। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, এ বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নৌযানে সাগরে সকল ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
অংশীজনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হ্রদ, নদী ও সাগরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার উন্নয়নে যা কিছু করার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তার সব কিছুই করা হবে। সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আন্তরিক রয়েছে। জাহাজের মালিকানা পরিবর্তনের জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এরআগে সকালে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় ১০তলা ভিত বিশিষ্ট সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও ফিশারিজ সেন্টার অব এক্সসিলেন্স এবং বিএফডিসি অ্যাকশন শেড কাম ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
মৎস্য মন্ত্রী চট্রগ্রাম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। এসময় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেনর চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত উপস্থিত ছিলেন।