বাসস
  ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:৫৬
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৪, ২০:৫৩

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে উন্নয়নের অভিযাত্রায় নিয়ে যাব : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে সড়ক, উন্নয়নের যে অভিযাত্রা, সে জায়গায় আবার নিয়ে যাব। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ধরণের নৈরাজ্য বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে পারবে না। 
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে ঘাট ও নৌকর্মীদের মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের প্রেরণা, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের সামনের পথ দেখানোর শক্তি। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়েই এই বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবো। এই যাত্রায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেনা।’
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পাঁচশত ঘাট ও নৌকর্মীর মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এবং ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে আমাদের এই অগ্রসরমান বাংলাদেশ, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে যখন আমরা খ্যাতি অর্জন করেছি, সেই বাংলাদেশের উন্নয়নকে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হলো, ধ্বংসপ্রাপ্ত করা হলো। আমরা মায়নমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে পৃথিবীর কাছে একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বীকৃতি পেয়েছি, সেই মানবিক বাংলাদেশকে কিভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হলো। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বির্নিমাণ করে আমরা সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলাম যে বাংলাদেশের মানুষ  মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেই বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর কাছে খাটো করার অপচেষ্টা করা হলো। 
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল, সেখানে কিভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হলো। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যে টোলপ্লাজা ছিল, সেই টোলপ্লাজা ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেতু ভবন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র বাংলাদেশ টেলিভিশন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানকার যে আর্কাইভ বাংলাদেশের ৫০ বছর, ৫৪ বছরে বাংলাদেশ কিভাবে ধীরে ধীরে আজকের এ পর্যায়ে পদার্পণ করেছে, তা সংরক্ষণ করা ছিল। সেই সংরক্ষিত ডকুমেন্টসগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আপনি যদি জানতে চান আজ থেকে ১৫, ২০, ৩০, ৪০, ৫০ বছর আগে বিটিভি কি ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছে, কি ধরনের অনুষ্ঠান করেছে, আমরা বাংলাদেশ কোথায় ছিলাম; সেগুলো এখন আমরা দেখতে পারবনা। কারণ সেই আর্কাইভ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল স্টেশন ডেটা সেন্টার পুড়িয়ে দেয়া হলো উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি ইন্টারনেট পাইনি, কানেকশন বঞ্চিত। অকাতরে কিভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে এই যাত্রাবাড়ীতে একজন নারী পুলিশকে হত্যা করা হলো। তাকে পিটিয়ে হত্যা করে শান্ত হয়নি, হত্যা করার পর তার মুখ থেতলা করে দিয়ে হানিফ ফ্লাইওভারের উপরে টানিয়ে দেয়া হয়েছিল। গাজীপুরে মানুষগুলোকে হত্যা করে উলঙ্গ করে টানিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা দেখেছি, সাইদুর রহমান বাংলা ভাই জঙ্গিরা আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে দেখেছেন, নির্যাতন কিভাবে হত্যা করার পর টানিয়ে রাখা হতো সেই ভয়াবহ দৃশ্য এখানে করা হয়েছে। 
তিনি জানান, এসব ঘটনা চলাকালীন একজন ইউনিভার্সিটি পাশ করা ছাত্রী প্রতিমন্ত্রীকে টেলিফোন করে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো, ‘আমি যখন স্কুলে এসেম্বলি করতাম তখন স্কুলের টিচার বলতো বাংলাদেশ ইজ এ পুয়র কান্ট্রি; এখন বাংলাদেশকে বলা হয় বাংলাদেশ ডেভেলপিং কান্ট্রি। আজ বাংলাদেশের ইকোনমি ভারতের ইকোনমির সাথে তুলনা করা হয়। সেই দরিদ্র বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে গেছেন। এটা কি তাদের কষ্ট। এই বাংলাদেশকে এইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা!’