বাসস
  ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৮:২০

নওগাঁয় হত্যা মামলায় একব্যক্তির মৃত্যুদন্ড

নওগাঁ, ২০ আগস্ট ২০২৪ (বাসস) : জেলায় আজ বহুল আলোচিত মা নিতা সরকার ওরফে পিংকি (২৫) ও তার ছেলে জয়তু সরকার ওরফে তুর্য (১০) হত্যা মামলার রায়ে আসামী সুমন সরকার ওরফে টিটুকে (৩৭) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। 
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত দায়রা জজ- ২য় আদালতের বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন। 
দন্ডিত আসামী সুমন সরকার ওরফে টিটু নারায়নগঞ্জের ৬৫ বি কে রোড, ১ নম্বর তুলারাম মোড়-এর মৃত বাদল সরকারের ছেলে। রায় ঘোষনাকালে আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।  
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. সামসুর রহমান এবং আসামীপক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট শুভ্র সাহা। 
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সাউথ-ইষ্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখার তৎকালীন ম্যানেজার জয়ন্ত কুমার সরকার তার স্ত্রী নিতা সরকার ওরফে পিংকি ও একমাত্র পুত্র জয়তু সরকার ওরফে তুর্যকে নিয়ে নওগাঁ শহরের উকিল পাড়ায় আলটিমেট ড্রিম ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ০৫-এফ নম্বর ফ্লাটে বসবাস করছিলেন। ঘটনার দিন ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকালে ব্যাংক কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে অপর এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিতে আসেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও ওই বাসায় মা ও ছেলের কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘটনাটি ব্যাংক কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার সরকারকে জানানো হয়। পরে, দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় নিতা সরকার ওরফে পিংকি এবং জয়তু সরকার তুর্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মা ও ছেলে- দু’জনের মরদেহ ঘরের মাঝখানে পড়ে ছিল। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর বিকালে জয়ন্ত কুমার সরকার নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
পুলিশ এ মামলার যাবতীয় কাগজপত্র ও পারিপার্শ্বিকতা তদন্ত করে বাদী জয়ন্ত কুমার সরকারের নিকট আত্মীয় সুমন সরকার ওরফে টিটুকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সুমন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত জবানবন্দীতে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় পুলিশ আসামী সুমন সরকার ওরফে টিটুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় নওগাঁর অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান আজ মঙ্গলবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আসামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।