বাসস
  ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১৪:১২

কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কমছে

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২৫ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি।  ফলে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি একই সঙ্গে গোমতী নদীর পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য বাসসকে নিশ্চিত করে বলেন, গোমতীর পানি প্রতি ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার করে কমছে।  
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন বলছে, দুর্গত এলাকায় সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত খাদ্যসহায়তা পাঠানো হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত ট্রলার ও নৌকা সংকটে  রয়েছে। গোমতীর বাঁধ ভেঙেছে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুরিয়া নামক স্থানে। সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বাসসকে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারিভাবে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আসা উদ্ধার কর্মী সোহরাব হোসেন শুভ বলেন, দুইদিন ধরে বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর, সাদেকপুর, আনন্দ নগর, ইছাপুর, ষোলনলে ত্রাণ বিতরণ করছি। তবে সেখানে খাবার পানি সংকট রয়েছে।  
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর বলেন, বন্যাকবলিত মানুষদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ চলছে। দুর্গত এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য শুকনো খাবার, স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ আছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা মোহাম্মদ আবেদ আলী বাসসকে বলেন, বুড়িচং উপজেলায় গোমতীর বাঁধ ভেঙে পৌনে ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৪৫ জন ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এক ট্রাক শুকনো খাবার ও খাবার পানি পাঠানো হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। আজ আরও খাবার বরাদ্দ দেওয়া হবে।