বাসস
  ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১১

হাছান-জাবেদ-নওফেলসহ ৮৬৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর মামলা

চট্টগ্রাম, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৬০০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চট্টগ্রামে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। 

নগরীর সদরঘাট থানায় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয় বাদি হয়ে অজ্ঞাতসহ  মোট ৮৬৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। তিনি জেলার লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা।

আজ মঙ্গলবার সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজ আহমদ বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার রাতে মামলাটি থানায় এন্ট্রি করা হয়েছে। মামলায় সাবেক তিন মন্ত্রীসহ একাধিক সাবেক সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন, সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম নাছির উদ্দিন, সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক এমপি আব্দুস ছালাম, কুমিল্লার সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী, তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, মহানগর, বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছে।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন। সে-সময় আসামিরা নগরীর সিটি কলেজের সামনে থেকে ইসলামিয়া কলেজ মোড়সহ আশপাশের অলি-গলি থেকে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, ইট-পাথর, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এসময় আসামিদের হাতে থাকা,অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, হকস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি বেধড়ক মারধর করা শুরু করে এবং গুলি বর্ষণ, ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

এছাড়া আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের মারধর করে অশ্লীল গালিগালাজ করে এবং অসহায় অবস্থায় পেয়ে দৃষ্টিকটু অশ্লীল ইঙ্গিত করে। উপস্থিত জনতার সামনে নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করে এবং গণধর্ষণের হুমকি দেয়। আসামিরা ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা দোকানদার-কর্মচারীদের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাসহ শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ জনমানুষের মনে ভীতি সঞ্চারের জন্য সড়কের ওপর থাকা বাস, সিএনজি ও মোটরসাইকেল, ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিসাধন করে।