শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : চাঁদপুরের মাঝেরচর এলাকায় জাহাজে ৭ শ্রমিক খুনের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিচারসহ চার দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। এতে বহির্নোঙর ও অভ্যন্তরীণ নৌরুটে জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়। ওইদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে কর্মবিরতি শুরু হয়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের এই কর্মবিরতির ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে সারাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটে পণ্য পরিবহনও। কর্ণফুলী নদী এবং ঘাটে বিপুল সংখ্যক লাইটারেজ জাহাজ পণ্য নিয়ে অলস ভাসছে। শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর ও কর্ণফুলির ১৬টি ঘাটে সব ধরনের পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। ফলে শত-শত লাইটারেজ জাহাজ অলস বসে আছে। চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে ২০টি বড় জাহাজে খালাসের অপেক্ষায় আটকে আছে ভোগ্যপণ্যসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টন পণ্য।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অফিস সচিব মো. আতিকুল ইসলাম টিটু আজ শনিবার বাসসকে বলেন, ‘নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রোববার মিটিংয়ের জন্য আামাদের ডেকেছেন। মিটিং না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছেন। সেটা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত শ্রমিকদের কাজে নামানো সম্ভব হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দর ও লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ৩৫টি জাহাজে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নেওয়ার জন্য বোঝাই করা হয়েছিল ৫০ হাজার টনের বেশি পণ্য। সেই জাহাজগুলোও আটকে আছে। আমদানিকৃত পণ্য লাইটারিং বন্ধ হওয়ায় বহির্নোঙরে অলস বসে আছে ২০টির মতো বিদেশি মাদার ভ্যাসেলও। এসব জাহাজে খালাসের অপেক্ষায় আটকে আছে সয়াবিন বীজ, সার, গম, মসুর ডাল, মটর ডাল, কয়লা ও সিমেন্টের কাঁচামালসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টন পণ্য।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৭টি ঘাটে ৭৩৮টি জাহাজে ১০ লাখ ১১ হাজার ২৩৫ টন আমদানি পণ্য বোঝাই অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি)।