বাসস
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৫

প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পর্যালোচনা করা হবে : উপ-প্রেস সচিব

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারের জন্য বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কার্ড ইস্যু না হচ্ছে, ততক্ষণ এই কার্ড বহাল থাকবে। তবে সরকার বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

আজ রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ঘোষণার প্রেক্ষিতে সচিবালয়ে প্রবেশের সাময়িক যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল-অনেকে ধরে নিয়েছেন সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল। এটি সঠিক নয়, কোন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়নি। সচিবালয়ে একটা দুঃঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান থাকায়  সেখানে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।’
 
তিনি নতুন করে কার্ড ইস্যুর আগে সাংবাদিকদের অস্থায়ী ভিত্তিতে পাস দেওয়া হবে বলে জানিয়ে বলেন, আগামীকাল থেকে সাংবাদিকরা অস্থায়ীভিত্তিতে এই কার্ড পাবেন। 

উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৭৮৬৬টি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করা হয়। যার মধ্যে ৪৯০০-এর মত কার্ড গত সরকার বিভিন্ন অজুহাতে বাতিল করেছে এবং বর্তমানে ২৯০০-এর ওপরে কার্ড বিদ্যমান আছে। সরকার পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, কারা এই কার্ড বহন করে। তবে ধারণা করা হচ্ছে- প্রকৃত সাংবাদিকদের বাইরে অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মী বা ব্যক্তির কাছে কার্ড রয়েছে। তারা আসেল সাংবাদিক নন।’ 

তিনি বলেন, সরকার এজন্য প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা প্রকৃত সাংবাদিক শুধুমাত্র তাদের কাছে কেবলমাত্র কার্ড থাকবে। যাতে তারা সাংবাদিকতা করতে পারেন। সাংবাদিকদের বাইরে অন্য কেউ যেন এই কার্ড ব্যবহার করে সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে এবং সচিবালয়ের েোত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি না করে। 

আজাদ মজুমদার বলেন, আমরা ভালো সাংবাদিকতাকে প্রমোট করতে চাই। আমরা মনে করি যারা সাংবাদিক নামধারী আছেন, তাদের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রকৃত সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে হবে।

উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, এই মুহূর্তে সচিবালয় একটা ক্রাইম সিন। সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগুনের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্ত চালানোর জন্য সরকার সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা মনে করি সাংবাদিকরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। সহযোগিতার অংশ হিসেবে সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার সীমিত করার সাময়িক সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে কিন্তু জানিয়েছি- এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। একেবারেই তদন্তের প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত। ক্রাইমের যে লক্ষণগুলো সন্দেহ করা হচ্ছে সেগুলোকে প্রটেক্ট করার জন্য, বেশি মানুষ প্রবেশ করলে আলামত নষ্ট হতে পারে, এ জন্য এ সিদ্ধান্ত। দেশের স্বার্থে এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার জরুরি। এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।