শিরোনাম
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম বলেছেন, থানায় সেবা নিতে কোন ধরনের তদবির বা রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষ কোন ধরণের তদবির ছাড়া নির্ভয়ে থানায় গিয়ে যাতে তাদের কাঙ্খিত সেবা পেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
আজ শনিবার সকালে ডিএমপির তুরাগ থানা এলাকার স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) বলেন, পুলিশ সাধারণ মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবে। মানুষের ধারণা পরিবর্তনের জন্য, পুলিশের ইমেজ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। ৫ আগস্টের আগের পুলিশের কার্যক্রম আর বর্তমান পুলিশের কার্যক্রম অবশ্যই এক হবে না। থানায় কোনো প্রকার তদবির ও আর্থিক লেনদেন ছাড়াই মিলবে কাঙ্খিত আইনানুগ সেবা।
তিনি বলেন, এখন কারো পোস্টিংয়ে কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) যদি অন্যায় কাজ করে, আর তা যদি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানতে পারে সঙ্গে সঙ্গে তিনি বদলি হয়ে যাবেন। এখানে ডিসি, এডিসি, এসি রয়েছেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ওসি আপনাকে সহায়তা না করলে, তার ওপরে এসি রয়েছে, আপনারা তার কাছে যাবেন। যদি সেখানেও ব্যর্থ হন, তার ওপরে এডিসি রয়েছে, তার কাছে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, অনেকে থানায় আসতে চান না। অনেক সময় তথ্য দিতেও ভয় পান। তাদের জন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তার নাম, মোবাইল নম্বর বিভিন্ন জায়গায় সাইনবোর্ডে দেওয়া রয়েছে এবং তা আরও দৃশ্যমান করা হবে যাতে খুব সহজেই আপনারা সমস্যার কথা তাদের তুলে ধরতে পারেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, পুলিশ যেন জনগণের আস্থাভাজন হতে পারে, সেজন্য আমাদের আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে জনগণকেও নির্ভয়ে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও উত্তরখান থানা এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন। তারা নাগরিকদের সাথে পুলিশের এমন মতবিনিময় সভা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক জাহানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উত্তরা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।