শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম তার নিজ নামে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করায় এবং তিনি ও তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভোগ করার মানসে ১৯টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সর্বমোট ২৭৮ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে জিলুল হাকিমের স্ত্রী সাঈদা হাকিম ওরফে সাইদা সুলতানা চৌধুরী তার নিজ নামে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ও তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভোগ করার মানসে একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও স্বামী মো. জিল্লুল হাকিমের সহায়তায় ৬টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৮৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অপরাধে সাঈদা হাকিম ওরফে সাইদা সুলতানা চৌধুরী এবং আসামি মো. জিলুল হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জিল্লুল হাকিমের অবৈধ সম্পদে স্ত্রী ও ছেলে সম্পদশালী হয়েছে। আশিক মাহমুদ মিতুল তার নিজ নামে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৬৭১ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করায় এবং তিনি ও তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভোগ করার মানসে তার পিতা মো. জিল্লুল হাকিমের সহায়তায় তার ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।