ঘনকুয়াশায় ভোলায় নৌ-যান চলাচলে দুর্ভোগ

বাসস
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৩
ঘনকুয়াশায় ভোলায় নৌ-যান চলাচলে দুর্ভোগ। ছবি : বাসস

ভোলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : উপকূলীয়  জেলা ভোলার নদ-নদীগুলো আজ বুধবার সকাল থেকেই ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। ফলে ভোলার সাথে রাজধানী ঢাকা,বন্দর নগরী চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার নৌ-পথে যোগাযোগ খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। 

এছাড়া আজ দুপুরে শৈত্য প্রবাহের ফলে ভোলায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে দিনভর চলমান ঘনকুয়াশার কারনে ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর লাইনে ফেরি চলাচলে ধীরগতির দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,আজ সকালে ব্যস্ততম নগরী নারায়ণগঞ্জ থেকে বন্দরনগরী চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় মালবাহী জাহাজ,এলপিজিবাহী কার্গো জাহাজ,এবং অন্যান্য নৌ-রুটে চলাচলকৃত যানগুলো চলতে বাধাপ্রান্ত হওয়ায় নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নোঙর করে আছে। ভোলার ব্রাদার্স নেভিগেশন কোম্পানির ম্যানেজার মো: আলাউদ্দিন বাসস'কে জানান,প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত তাদের মালিকানাধীন কর্ণফুলী লঞ্চসহ বিভিন্ন কোম্পানির অন্তত : ১০ টি যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করে থাকে। কিন্ত ঘনকুয়াশা থাকলে এসব লঞ্চগুলো চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হয়। ফলে ঝুঁকি নিয়ে কিছু লঞ্চ ভোলা থেকে-ঢাকা রুটে ছাড়া হলেও ঘনকুয়াশার কারনে ৫ ঘন্টা সময়ে ঘাটেফেরা লঞ্চসমূহ অনেক সময় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা লেগে যায়। তিনি জানান,আজ বুধবার সকালে ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী  কয়েকটি লঞ্চ বিকেল তিনটা নাগাদও সদরঘাটে পৌঁছতে পারেনি।

এদিকে ঘনকুয়াশার কারনে ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটেও ফেরি চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা  যায় । 

বিআিইডব্লিউটিসি'র বরিশাল অঞ্চলের ম্যানেজার সিহাবউদ্দিন বাসস'কে জানান,ঘনকুয়াশার মধ্যেও কখনো ঝুঁকি নিয়ে ফেরিগুলো ছাড়তে হয়। কারন ফেরি না ছাড়লে দুইপাড়ে শতশত যানবাহন আটকে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া কাঁচামালের গাড়ীগুলো গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে ওই কাঁচামালসমূহ পঁচে যায়। ফলে ঘনকুয়াশা মাথায় নিয়ে চলাচল করা একঘন্টা সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা ফেরিগুলো ৩/৪ ঘন্টা সময় লাগলেও তা মাথা পেতে নেন যানবাহগুলোর ড্রাইভার হেলপাররা। তিনি বলেন, তবে ঘনকুয়াশার কারনে নৌ-নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সবসময়ই ফেরি ও লঞ্চঘাট এবং নদীতে তদারকী এবং টহল জোরদার রেখেছেন। 

ভোলা নৌ পুলিশী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শাহীন জানান, ঘনকুয়াশার কারনে  কোনো চক্রকেই অবৈধভাবে ট্রলার কিম্বা স্পীডবোটে যাত্রী পারাপারের ব্যবসা চালাতে  দেয়া হচ্ছেনা। নোঙর করা জাহাজগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখতে নৌ-পুলিশ সর্বদাই সচেষ্ট বলে দাবি করেন, নৌ-পুলিশের এ কর্মকর্তা।


 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দেবেন ট্রাম্প
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ট্রাক একীভূতকরণের খবরে জাপানের হিনো মোটরসের শেয়ারের দাম বেড়েছে
বুরকিনায় 'সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা' তৈরির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হয়েছে : সামরিক জান্তা 
টাঙ্গাইলে মুষ্টি চাল বিক্রির টাকায় রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে
মজুরি ৩ বছর পর পর মূল্যায়নে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
এখনও থামেনি শহীদ রাসেলের মায়ের বুক ফাটা কান্না
সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠনের সুপারিশ
বিজয়ের বিবেকের জাগরণ : রক্তে লেখা আত্মদানের গল্প
১০