৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগের ফল বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন শুনানি আগামীকাল

বাসস
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৮

ঢাকা, ২ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি আগামীকাল ৩ মার্চ।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ ২ মার্চ শুনানির জন্য নির্ধারণ করে মঙ্গলবার আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. রেজাউল হক। সে অনুযায়ী বিষয়টি আজ শুনানির কার্যতালিকায় আসে। তবে ব্যক্তিগত ডিফিকাল্টিসের কারণে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আজকের পরবর্তীতে বিষয়টি আগামীকাল শুনানি করতে চান। এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বিষয়টি আগামীকাল শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন বলে সেদিন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিটটি করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে এ নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। আর রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ জুলাই কোটাপদ্ধতি সংশোধনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ-সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হল। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না।

অন্যদিকে, রিটকারীদের আইনজীবী বলেন, এই ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নির্বাচন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়, যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ অন্য কোটা ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গাজায় আরও ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরাইল
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার পানির ন্যায্য বণ্টন দাবি 
দশ বছর পূর্তিতে ১৪ নভেম্বর সমাবেশ ও মাথাল র‌্যালি করবে গণসংহতি আন্দোলন
হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
আইজিপির সঙ্গে আয়ারল্যান্ড এবং ইইউ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি : প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট পেশ
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ১ কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে: আমীর খসরু 
নির্বাচনের পর দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর  
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে মিডিয়ার গুণগত পরিবর্তন আসবে : তথ্য উপদেষ্টা
মানিকগঞ্জ পরিদর্শনে সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর 
১০