মুক্তারপুর-পঞ্চবটি সড়ক প্রশস্তকরণ ও দ্বিতল সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে

বাসস
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫২
মুক্তারপুর-পঞ্চবটি সড়ক প্রশস্তকরণ ও দ্বিতল সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। ছবি : বাসস

মুন্সীগঞ্জ, ১২ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মুক্তারপুর-পঞ্চবটি সড়ক প্রশস্তকরণ ও দ্বিতল সড়কের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।দ্বিতল সড়কে চলছে ডেক্সস্ল্যাাব বসানোর  এবং নীচে চলছে রাস্তা প্রশস্ত করণ এবং ড্রেন নির্মাণের কাজ।

আগামী বছর জুনের মধ্যে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে । এতে তিন জেলা মুন্সীগঞ্জ , নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা জেলার সাথে সুষ্ঠু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। চট্রগ্রাম সিলেট থেকে দক্ষিণাঞ্চল গামী যানবাহন ঢাকার ভিতর দিয়ে না যেয়ে এ সড়কে সরাসরি  যাতায়াত করতে পারবে।নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের যোগাযোগ এবং অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত করতে প্রকল্প এলাকায় চলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশাল কর্মযজ্ঞ।

মুন্সীগঞ্জ -ঢাকা  সুষ্ঠ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি দীর্ঘ তিন যুগেও।মুন্সীগঞ্জ  - ঢাকা সড়ক যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হচ্ছে মুক্তারপুর - পঞ্চবটি সড়ক। অপ্রশস্ত এ সড়কে যানজটে পরে যাত্রীদের  চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।যানজট নিরসনে আর মুন্সীগঞ্জের সাথে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের সুষ্ঠু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মুক্তারপুর হতে পঞ্চবটি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ এবং এলিবেটেড এক্সপ্র্র্র্র্র্র্র্র্রেসওয়ে (দ্বিতল সড়ক ) নির্মান করা হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় ১০ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে মুক্তারপুর থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত দুই লেনের ৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার  এলিবেটেড এক্সপ্র্র্র্র্র্র্র্র্রেসওয়ে ( দোতালা সড়ক)  এবং বিদ্যমান রাস্তা প্রশস্ত করনের একটি প্রকল্প হাতে নেয়।

এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৬৫৯ কোটি  টাকা । আগামী ৩০জুন ২০২৫ সালে নির্মাণকাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ ছিল। বর্তমানে সেতু কর্তৃপক্ষ  ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করেছে। নির্মান কাজ শেষ হলে খুলে যাবে যোগাযোগের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।লাঘব হবে মুন্সীগঞ্জ বাসীর দীর্ঘদিনের যানজট জনিত সীমাহনি দুর্ভোগ আর ভোগান্তি।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্তের জন্য দ্বিতল সড়কের ডেক্সস্লাব বসানো , রাস্তা প্রশস্ত করণ এবং ড্রেন নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। 

নারায়ণগঞ্জের অংশে গোপচর এলাকায়  ভুমি অধিগ্রহনের টাকা পরিশোধ না করায় সেখানে কয়েকটি  পিলারের কাজ ধীর গতিতে চলছে।অর্থ প্রাপ্তির জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায় , ১০ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ   মুক্তারপুর - পঞ্চবটি  সড়কে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৭ কিলোমিটার অ্যাটগ্রেড সড়ক দুই লেন এবং ৩য় শীতলক্ষ্যা  সেতু থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার  অ্যাটগ্রেড সড়ক ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। পঞ্চবটি থেকে শীতলক্ষ্যা -৩ সেতু পর্যন্ত ২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৬ টি র‌্যাম সহ দুই লেন বিশিষ্ট ৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার হচ্ছে এলিবেটেড এক্সপ্র্র্র্র্র্র্র্র্রেসওয়ে (দোতালা সড়ক)। এর মধ্যে পঞ্চবটি থেকে কাশিপুর পর্যন্ত ৩.৫ কিলোমিটার এ্যাট -গ্রেড সড়কের উপর এবং  কাশিপুর থেকে চর সৈয়দপুর পর্যন্ত ২.৭৬ কিলোমিটার নীচু ভুমির উপর দিয়ে যাবে। এছাড়া যানজট নিরসনে পঞ্চবটি মোড় থেকে ফতুল্লার দিকে ও নারায়ণগঞ্জের চাষারার দিকে ৩ শত ১০ মিটার করে ৬ লেন সড়ক নির্মান করা হবে। মুক্তারপুর সেতুর দক্ষিণপ্রান্তে ৪৪৩ মিটার এ্যাডগ্রেড সড়ক ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। চর সৈয়দপুরে ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু পয়েন্টে একটি গোলচত্তর থাকবে।নিচে উপরে ২ টি করে ৪টি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হবে এবং যানবাহনের ওজন পরিমাপের জন্য থাকবে ৬টি ওজন ষ্টেশন।নিচতলায় যানচলাচলের জন্য ফ্রি থাকলেও দোতালা সড়কে যাতায়াতে টোল পরিশোধ করতে হবে। 

প্রকল্প পরিচালক ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাসস কে জানান   , প্রায় ৩৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে  মুক্তারপুর - পঞ্চবটি সড়ক  প্রশস্তকরণ ও দোতালাকরণের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে সমাপ্ত করার জন্য কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্যানডং লুকিয়াও গ্রুপ ও চায়না স্যানডং  ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্রার কো - অপারেশন গ্রুপ  ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করবে।এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।নারায়নগঞ্জ অংশের গোপচর এলাকায় অধিগ্রহনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সেখানে কাজের গতি কম রয়েছে।এপ্রিল মাসেই  এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মুক্তাপুরে প্লাস্টিক কনসার্নের মামলার রায় এ মাসে চলে আসবে তখন ঐ অংশে রাস্তা প্রশস্তকরণের  বাধা অপসারিত হবে।আশা করা যাচ্ছে ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেওয়া যাবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মুন্সীগঞ্জ জেলার সাথে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে এবং মুন্সীগঞ্জ বাসীর যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে। চর সৈয়দপুরে ৩য় ুশীতলক্ষ্যা  সেতু পয়েন্টের  গোলচত্তর থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়কটি  চার লেনে উন্নীত হলে চট্রগ্রাম সিলেট থেকে দক্ষিণাঞ্চল গামী যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে শীতলক্ষ্যা -৩ সেতু দিয়ে বা নারায়ণগঞ্জ হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে  যাতায়াত করতে পারবে। মুক্তারপুরে ৫টি সিমেন্ট কারখানা সহ ৬টি হিমাগার থাকায় মুক্তারপুর - পঞ্চবটি সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় সকাল বিকাল হাজার হাজার শ্রমিক যাতায়াত করায় প্রতিনিয়ত মুক্তারপুর - নারায়ণগঞ্জ সড়কে যানজট লেগে থাকে। মুক্তারপুর - পঞ্চবটি সড়ক প্রশস্তকরণ ও দ্বিতল সড়কের নির্মান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এপথে যাতায়াতে সময় বাঁচবে প্রায় ৬২দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং যানবাহনের গতি বাড়বে প্রায় ৫ গুন। 


 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সূর্যবংশীর রেকর্ড গড়া ম্যাচে হারল রাজস্থান
বিগত তিন নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এনসিপি’র
ভোলায় তোফায়েলের ছেলে বিপ্লব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিএমইউতে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
জলবায়ু সংকট উপকারী প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি ত্বরান্বিত করছে
গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর
চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ জুলাই
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ৫ দিনব্যাপী ভর্তি মেলা শুরু
ঝালকাঠিতে ১০ শহীদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান
১০