প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের

বাসস
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:১৯
মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। ছবি :পিআইডি

ঢাকা, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে সুস্থ জাতি গঠনে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

আজ মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান প্রকল্পের বেজলাইন জরিপ ও নলেজ, অ্যাটিচুড ও প্র্যাকটিস অ্যানালাইসিস সার্ভে শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিশুর সামগ্রিক বিকাশ, যত্ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তাদের শারীরিক, মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে যাবতীয় সেবাসমূহ নিশ্চিত করা, এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের চাইল্ড কেয়ারে এবং ছয় থেকে দশ বছরের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও জীবন মানের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি দেশের ১৬ টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় ‘সমাজ ভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান’ (আইসিবিসি) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সুরক্ষিত পরিবেশে শিশুদের নির্ভয়ে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিতে এ প্রকল্পটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, গ্লোবাল অর্গানাইজেশনের সিনারগোস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এশা হুসেইন, ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস এর জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক কেলি লারসন এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক দিলারা বেগম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আব্দুল কাদের। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. আমিনুর রহমান।

উপদেষ্টা এসময় আরো বলেন, দুর্ঘটনা সমীক্ষায় বিশেষ বিষয় হিসেবে যখন দেখা যায় বাংলাদেশে ১ থেকে ৯ বছরের শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু। এই সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যে বলা হয় যে, বাংলাদেশের ৫ বছরে কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় ঝুঁকি পানিতে ডুবে মারা যাওয়া। এই মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটে সাধারণত বাড়ির ২০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত জলাধারে এবং দিনের প্রথম ভাগে। গ্রামাঞ্চলে পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার এই হার শহরের চাইতে বেশি, যার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে সেখানে পুকুর আর ডোবার মত ছোট ছোট জলাধারের সংখ্যা বেশি। এজন্য ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ৮০০০ টি সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্র স্থাপন এবং পরিচালনা করা। ২ লাখ শিশুকে এই প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদান করা হবে। ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য ১৬০০ টি ভেনুতে সাঁতার শেখানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রায় ৫০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের : মার্কিন গণমাধ্যম
পহেলা মে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘অটো সিরিজ অব এক্সিবিশন্স বাংলাদেশ’
মালদ্বীপে ইসরাইলি নাগরিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রধান বিচারপতি ঘোষিত রোডম্যাপে সহায়তার আশ্বাস আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশের
অনলাইন জুয়া খেলা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ
নববর্ষের উপহার হিসেবে আউটসোর্সিং কর্মীদের সুযোগ বাড়ানো হলো
ঢাবিতে ষষ্ঠ বাংলাদেশ ইকনোমিকস সামিট শুরু
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের
কাল ঢাকায় আসছে মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল
ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ‘সহজ নয়’: ন্যাটো প্রধান রুটে
১০