জলবায়ু অর্থায়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর অর্থ উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ

বাসস
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১৭:২৯
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সাথে গতকাল ইতালির মিলানে ৫৮তম এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের বার্ষিক সভার সাইডলাইনে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (FCDO) প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। ছবি: পিআইডি

মিলান (ইতালি), ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের(এডিবি) ৫৮তম বার্ষিক সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন ও আঞ্চলিক সংযোগের ওপর জোর দিয়েছেন ।

অর্থ উপদেষ্টা এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দাসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের পথে এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটপূর্ণ সময়ে শুধু অর্থায়ন নয়, কাঠামোগত সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি সহনশীলতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এডিবির ভূমিকা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে  গুরুত্বপূর্ণ।

ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত এ সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী অংশগ্রহণ করেন।

উপদেষ্টা চারটি প্রধান খাত ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তি-অবকাঠামো, ই-গভর্ন্যান্স ও ডিজিটাল শিক্ষা সম্প্রসারণে সহায়তা, জলবায়ু কার্যক্রম- নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু-বান্ধব কৃষি এবং উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য এডিবিকে উন্নততর সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি ও পরিষেবা ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার পরামর্শ, টেকসই অর্থায়ন ও ঋণ বজায় রেখে উন্নয়ন চাহিদা পূরণের জন্য ছাড়যুক্ত তহবিল ও উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এছাড়া আজকের সংকটকে আগামীর সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে হলে সাহসী চিন্তাধারা, গভীর অংশীদারিত্ব ও সম্মিলিত সংকল্পের প্রয়োজন বলে তিনি জানান। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া, আগামীর প্রস্তুতি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও অনুপ্রেরণাদায়ক।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। গত পাঁচ দশকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে আনুমানিক ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে, যা মূলত দারিদ্র্য হ্রাস, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। সাম্প্রতিক আর্থিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মূল উন্নয়ন অগ্রাধিকারের প্রতি জলবায়ু সহনশীলতা, মানবিক সহায়তা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কৌশল অনুসারে, এফসিডিও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বাণিজ্য, জলবায়ু অর্থায়ন, এসএমই উন্নয়ন, ডিজিটাল প্রশাসন এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। 

এছাড়াও বাংলাদেশ সবুজ বিনিয়োগ, কারিগরি প্রশিক্ষণ, নদী পুনরুদ্ধার, বেসরকারি খাত, কারিগরি সহায়তা, পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা এবং যৌথ গবেষণায়  সহায়তার আহ্বান জানায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জুলাই জাতীয় সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে আহ্বান বিএনপির
ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় বিষয়ে সবৈর্ব্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ
রেলওয়ের ওয়াশিংপ্লান্টে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ১০ম দিনের শুনানি মঙ্গলবার
৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি
আমরা সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই: সিলেটে ডা. শফিকুর রহমান
আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ডেঙ্গু বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচেতনতামূলক বার্তা
প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই আমরা জুলাই সনদ নিতে চাই : হাসনাত আব্দুল্লাহ
অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত তহবিল ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের আহ্বান বাংলাদেশের
১০