এপ্রিলে ৫৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত আহত ১২০২ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

বাসস
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ২০:৩৯ আপডেট: : ০৬ মে ২০২৫, ২১:২৭

ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : গত এপ্রিল মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৫৬৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত, ১২০২ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। 

অপরদিকে রেলপথে ৩৫ টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত, পাঁচ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে আটটি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, একজন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬১০ টি দুর্ঘটনায় ৬২৮ জন নিহত এবং ১২০৭ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পেয়েছে। 
আজ ছয় মে মঙ্গলবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি।

এই সময়ে ২১৫ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭.৯১ শতাংশ, নিহতের ৩৯.২৭ শতাংশ ও আহতের ১৮.৬৪ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত ও ৩৭৭ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৫১ জন আহত হয়েছে।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৫ জন চালক, ১১২ জন পথচারী, ৭২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক, ১০০ জন নারী, সাতজন শিশু, দুইজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন প্রকৌশলী এবং আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- দুইজন পুলিশ সদস্য, একজন সেনাবাহিনী সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, একজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন প্রকৌশলী, ১১৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৭ জন পথচারী, ৬৭ জন নারী, ৫৫ জন শিশু, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক ও তিনজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮৩৯ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩০.৩৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭.৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩.৭১ শতাংশ বাস, ১৬.৬৯ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭.৭৪ শতাংশ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ৭.২৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৫৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৯৭ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৩.৮০ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.৫১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫.৯৯ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেচিয়ে ০.৩৫ শতাংশ এবং ০.৩৫ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩১.৭৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৯.১০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৩.৬৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জুলাই জাতীয় সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়ন ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে আহ্বান বিএনপির
ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় বিষয়ে সবৈর্ব্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ
রেলওয়ের ওয়াশিংপ্লান্টে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ১০ম দিনের শুনানি মঙ্গলবার
৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি
আমরা সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই: সিলেটে ডা. শফিকুর রহমান
আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ডেঙ্গু বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচেতনতামূলক বার্তা
প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই আমরা জুলাই সনদ নিতে চাই : হাসনাত আব্দুল্লাহ
অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত তহবিল ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের আহ্বান বাংলাদেশের
১০