জলাবদ্ধতা নিরসনে নাগরিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

বাসস
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ২০:৩৪
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম, ১৩ মে ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) চলমান খাল খনন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহণ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন কোনো একক সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। সকল নাগরিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। এখন সময় নাগরিক দায়িত্ব পালনের।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন ও নাগরিকসহ  সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর আগ্রাবাদ বক্স কালভার্ট, মহেষ খাল, নাজির খাল ও বীর্জা খালের খনন ও পরিচ্ছন্নতা কাজ পরিদর্শনকালে  আজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ  ফাওজুল কবির খান বলেন, আমি নিজে চট্টগ্রামে প্রাথমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। তখন শহরে কখনো এরকম জলাবদ্ধতা ছিল না। এটি প্রাকৃতিক সমস্যা নয়, বরং দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও খাল দখলের ফল। যারা অতীতে সিডিএ’র নেতৃত্বে ছিলেন, তারাই মূলত এ অবস্থার জন্য দায়ী।

খাল উদ্ধার ও পুনঃখননের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে খালের ওপর গড়ে ওঠা দোকান, ঘরবাড়ি এমনকি চিনির গুদাম পর্যন্ত অপসারণ করা হয়েছে। অনেক বাঁধা অতিক্রম করে আজ আমরা খালগুলোকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার কাজ করছি। আমরা সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকেও এই কাজে সম্পৃক্ত করেছি। এ এক বিশাল সমন্বিত উদ্যোগ।

নাগরিকদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, খাল পরিষ্কারের পর আবারও যদি কেউ সেখানে ময়লা ফেলে, তাহলে সেটি হবে আমাদের সব প্রচেষ্টার অপচয়। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ বাইরে ময়লা ফেললে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিদর্শনকালে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামকে একটি ক্লিন, গ্রিন, হেলদি, স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন খাল খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রমে সব রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন দেখতে চাই।

খাল উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে মেয়র বলেন, নাজির খাল, মহেষ খাল এবং বীর্জা খাল আমাদের জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। আমরা মনে করি, একটি স্মার্ট, ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি গড়তে হলে দল-মত নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়া উদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, এস এম লুৎফুর রহমান প্রমুখ। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
নাটোরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
চাঁদপুরে ১৩ জনকে ব্ল্যাক বেল্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত : এটিএম মাসুম
ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে : এরদোয়ান
ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, আহত ২০
অনূর্ধ্ব-১৯ সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট দিয়ে টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর উদযাপন করবে বিসিবি
বিদেশের মাটিতে প্রথম ফাইফার নাইমের
ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছে তারাই জেল খেটেছে : এ্যানি
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে : শফিকুর রহমান
তারেক রহমানের ফেরার প্রস্তুতি চলছে : আমীর খসরু
১০