মানিকগঞ্জ, ১৫ মে, ২০২৫(বাসস) : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে পেঁপে চাষ। ফলন ভালো, দাম ভালো তাই লাভও বেশি। বাজারে চাহিদা বাড়ায় উৎসাহী হচ্ছেন কৃষকেরা।
উপজেলার মাঠজুড়ে এখন সবুজ পেঁপে গাছ। কেউ ফল তুলছেন, কেউ দিচ্ছেন সার-পানি, আবার কেউ লাগাচ্ছেন নতুন চারা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, উচ্চফলনশীল জাত সহজে পাওয়া যাচ্ছে। এতে ফলন দ্রুত হয়, খরচ কম পড়ে, লাভ বেশি হয়। এক সময় শুধু বাড়ির আঙিনায় পেঁপে গাছ লাগানো হতো। এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর জমির পরিমাণ বাড়ছে।
চর আজিমপুর গ্রামের জুরান খান ও ভানু বিবি জানান, এ বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। বেগুনটুবি গ্রামের আবু তাহের জানান, ছয় বিঘা জমির ফল বিক্রি করে এরই মধ্যে দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন। পুরো মৌসুমে ৫-৬ লাখ টাকা লাভ হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। শায়েস্তা ও তালেবপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন চাষি জানিয়েছেন, তাদের গাছ ভালো বেড়েছে। ফলন নিয়েও আশাবাদী তারা।
প্রতিদিন হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন চাষিরা। পাকা ও কাঁচা নানা জাতের পেঁপে বিক্রি করেন পথচারীদের কাছে। উৎপাদন বাড়ায় উপকার পাচ্ছেন ভোক্তারাও। দাম সাশ্রয়ী হওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
সিঙ্গাইরের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে চাষিরা ফল তুলছেন, নতুন চারাও লাগাচ্ছেন। একটি গাছের নিচেই গজাচ্ছে পরের প্রজন্মের গাছ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান স্বপন জানান, এ মৌসুমে ৮৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার টন ফল।
তিনি বলেন, চাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মাঠ পরিদর্শন করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেন ফলন আরো বাড়ে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, সিঙ্গাইরের মাটি পেঁপে চাষের জন্য আদর্শ। এখানকার পেঁপে স্বাদে ও গুণে ভালো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁপে এখন ফলের চেয়ে সবজি হিসেবেই বেশি ব্যবহার হয়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের নানা জায়গায় যাচ্ছে সিঙ্গাইরের পেঁপে।